রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Picture Credits: Facebook)

কলকাতা, ৬ মার্চ: গতকাল ছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindra Bharati University) বিটি রোড ক্যাম্পাসে (BT Road Campus) বসন্ত উৎসব (Basanta Utsav) উদযাপন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েেছ কিছু বিতর্কিত ছবি (Controversial Pictures)। যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে বাঙালি সংস্কৃতির শিক্ষা-রুচি। ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে, শাড়ি পরা কিছু মহিলার খোলা পিঠে আবির দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিকৃত গানের লাইন। অশ্লীল শব্দ লেখা হয়েছে ছেলেদের বুকেও। তবে এরকম একটা, দুটো নয়। ভুরি ভুরি গালিগালাজ, একে তাকে টেনে আবিরের রং দিয়ে পিঠে এঁকে ঘুরতে দেখা গেছে অনেককেই।

বসন্তোৎসব উপলক্ষে বহু মানুষ বাইরে থেকে ক্যাম্পাসে আসেন রঙের উৎসবে নিজেদের রাঙিয়ে নিতে। যত দিন যাচ্ছে ততই একটা ট্রেন্ড হয়ে যাচ্ছে বসন্তোৎসব। কিন্তু শিক্ষাদীক্ষা, রুচি সবকিছুই কি ভুলেছে বাঙালি? এমনই প্রশ্ন উঠে আসে গতকাল সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। কখনও কোনও কলেজ কিংবা রঙের উৎসব, রবীন্দ্রনাথের বিকৃত গান যেভাবে নতুন প্রজন্মের কিছু অংশকে গ্রাস করেছে, রবীন্দ্র সঙ্গীত বোধহয় ততটা করেনি। রবীন্দ্রাভারতী কিংবা অন্য যে কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কী আচরণ করতে হবে তা রীতিমতো ভুলে যায় এক শতাংশ মানুষ। যার ফলে বিতর্কের মুখে পড়তে হয় বারবার। শুধু যে রোদ্দুর রায়ের গান নিয়ে মাতামাতি হয়েছে এমন নয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা গালাগালি সবই পিঠে, বুকে লিখে ঘুরে বেরিয়েছে কিছু ছাত্রছাত্রী। আরও পড়ুন, করোনা থেকে বাঁচতে এবং বাঁচাতে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করবেন, দেখে নিন

এই ব্যাপারে উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এই ঘটনা তাঁর ক্যাম্পাসেই ঘটেছে। তবে সেই সঙ্গে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, দোল উৎসব উপলক্ষে ক্যাম্পাসে প্রচুর বহিরাগত এসেছিলেন। তাই কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা চিহ্নিত করা প্রায় অসম্ভব। গতকাল বসন্তোৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবারের মতই ছিল লক্ষ মানুষের ভিড়। ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে ঢালাও আয়োজন করা হয়েছিল পুলিশের তরফ থেকে। ভিড়ে বাধ সাধেনি কোনও প্রবেশপত্রর। প্রবেশপত্র ছাড়াই ক্যাম্পাসে ঢুকতে দিতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।