বোলপুর, ২৫ অগাস্ট: শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই (Rabindranath Tagore) বহিরাগত বলে বিতর্ক তৈরি করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Vidyut Chakraborty)। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশিষ্ট আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondol) পর এবার অনুপম হাজরার (Anupam Hazra) তীব্র আক্রমণের মুখে বিশ্বভারতীর উপাচার্য। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'রবীন্দ্রনাথ আমার কাছে কোনও ব্যক্তি না, এক আবেগের নাম। রবীন্দ্রনাথকে বহিরাগত বলাটা আমার কাছে শ্রুতি মধুর মনে হয়নি, আমার মত বহু প্রাক্তনী এতে ব্যথিত।'
#প্রসঙ্গ: গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে "বহিরাগত" বলা !!! pic.twitter.com/PzRB2UvBMP
— Anupam Hazra (Dr. Anupam Hazra) (@tweetanupam) August 24, 2020
১৭ অগস্ট পৌষমেলার (Poush Mela) মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে বিরোধ বাঁধে। উপাচার্য নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পাঁচিল তোলার কাজ করালেও, স্থানীয়দের একাংশ পে-লোডার নিয়ে গিয়ে সেই নির্মাণ ভেঙে দেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টানতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়। বিকাশবাবুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সাফাই দেন বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার। এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় তিনি লেখেন, "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বীরভূমের মানুষ নন, কলকাতা থেকে তিনি এখানে এসেছিলেন। তাই তাঁকে বীরভূমের ভূমিপুত্র বলা যায় না। বিকাশবাবুর তথ্য বিকৃতি করে যেভাবে অপব্যাখ্যা হচ্ছে, তা দুর্ভাগ্যজনক।"
এবার বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ ও বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী হিসেবে উপাচার্যের ওই মন্তব্যের সমালোচনায় টুইট করলেন অনুপম হাজরা। দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তির পাশাপাশি নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচাতে অনশন আন্দোলনেও নামতে রাজি অনুপম হাজরা।