আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) নিহত চিকিৎসকের দেহ যেদিন সেমিনার হলে উদ্ধার হয়, সেদিন সকালে ক্রাইম সিনে একাধিক মানুষের জমায়েত ছিল। এই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ছবি এবং ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছিল যে ক্রাইম সিনে এত লোকের ভিড় কেন? অবশেষে এই প্রশ্নের জবাব দিলেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় (Indira Mukherjee)। শুক্রবার তিনি জানালেন যাঁরা ওই দিন সেমিনার রুমে ছিলেন তাঁরা সকলেই এই ঘটনার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেমিনার রুমের সামনে দরজায় দাড়িয়েছিল কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। ফলে ভেতরে অবাঞ্ছিত কোনও ব্যক্তি সেই সময় ঢোকেনি। ফলে যাঁরা অভিযোগ তুলছিল যে ক্রাইম সিনে ঢুকে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করেছে অনেকে, সেই অভিযোগ লালবাজারের তরফ থেকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়।
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় প্রথম ছবিটি তুলে ধরে বলেন, কর্ডন করা এলাকায় ছিলেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের আধিকারিক, গোয়েন্দা বিভাগের ভিডিওগ্রাাফার, পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত এক পুলিশ কমিশনার, মহিলা পুলিশ, টালা থানার মহিলা পুলিশ আধিকারিক এবং ফরেন্সিক বিভাগের আধিকারিক। দ্বিতীয় ছবিতে আর কয়েকজকে দেখা যায়। এদের মধ্যে ছিলেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী চিকিৎসক (গলায় স্টেথোস্কোপ ঝোলানো ছিল), এফএসএল টিমের আধিকারিকরা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট একজন ছিলেন, গোয়েন্দা বিভাগের এসিপি, ভিডিয়োগ্রাফার, সিনিয়ার অফিসার এবং ফরেন্সিক টিমের আধিকারিকরা ছিলেন।
#WATCH | Kolkata, West Bengal: On RG Kar rape-murder case, DCP Central Indira Mukherjee says, "We have seen that there is one particular news channel which has shown a video and some pictures of the seminar hall which is the place of occurrence of this case. There it has been… pic.twitter.com/kVWh08nBcT
— ANI (@ANI) August 30, 2024
প্রসঙ্গত, আরজি কর ঘটনার পর একের পর এক চাঞ্চল্যকর ভিডিয়ো ও ছবি প্রকাশ্যে আসছে। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে সর্বত্র। ঘটনার তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। যদিও কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের গ্রেফতারির পর আর কাউকে বিশেষ গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের অধ্যক্ষকে একাধিকবার জেরা করা হয়। কিন্তু সেভাবে কিছু উদ্ধার করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।