কলকাতা, ২৬ জুন: মাইক্রো কনটেনমেন্ট এবার চালু হল হাওড়ায় (Howrah)। কারণ জেলায় শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামেও করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। আর তাই কাল, রবিবার থেকে তিনদিন ধরে ওইসব অঞ্চলে দোকান, বাজার সহ নানা ক্ষেত্র বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হল। এই বিষয়ে এলাকায় মাইকের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেছে পুলিশ। এর আগে ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়াতেও মাইক্রো কনটেনমেন্ট (Micro Containment Zone) জারি করা হয়েছে। বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও হুগলির চন্দননগরে ৮টি ওয়ার্ডকে মাইক্রো মাইক্রো কনটেনমেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। আরও পড়ুন: পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রিক্সা টেনে প্রতিবাদ মদন মিত্রের, দেখুন
দেখে নেওয়া যাক কোন কোন অঞ্চল থাকবে এই কনটেনমেন্ট জোনের আওতায়- হাওড়ার শহরের ঘুসুড়ির নস্করপাড়া, আন্দুল বাজার, ডোমজুড়, রাজগঞ্জ, মাকড়দহ বাজার এবং সাঁকরাইলের চাঁপাতলা। তবে ওষুধের দোকান সহ একেবারে জরুরি পরিষেবা-দোকান খোলা থাকছে। এই নির্দেশিকা বৃহস্পতিবার, পয়লা জুলাই পর্যন্ত জারি থাকবে।
ডোমজুড়ের বিডিও জানিয়েছেন, এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগের থেকে অনেকটাই কমেছে। তবে, আক্রান্তের সংখ্যা একবারে শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা রেখে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে হটস্পট চিহ্নিত করে কনটেনমেন্ট জোন বা মাইক্রো কনটেনমেন্ট তৈরি করতে হবে।
এদিকে, রাজ্যে করোনা সংক্রমণে লাগাম এলেও, এখনও উদ্বেগ পুরোপুরি কাটেনি। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে রাজ্যে বাড়ানো হয়েছে বিধিনিষেধ। গত ১৫ জুন থেকে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে পয়লা জুলাই পর্যন্ত। বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও, রাজ্যে বাস -লোকাল ট্রেনসহ গণ পরিবহণ বন্ধই রাখা হয়েছে। রাজ্যে করোনা নিয়ে বিধিনিষেধ আরও দিন পনেরো বাড়িয়ে পয়লা জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে রাজ্যের আর্থিক দিকের কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।শর্তসাপেক্ষে শপিং মল, রেস্তোরাঁ ও বেসরকারী অফিস খোলার অনুমতি মিলেছে।