পঞ্চম দফার ভোটের আগে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল ভোটের সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, হাওড়া জেলার, উলুবেড়িয়ার চণ্ডিপুর এলাকায় কুলগাছিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগের তির কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানের বিরুদ্ধে। রবিবার ভোরবেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় একজনকে আটক করা হলেও অপরজন পালিয়ে গিয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। রবিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে প্রথম এই ঘটনা সামনে আনেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মুখপাত্র শশী পাঁজা।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো রবিবার ভোরবেলায় স্থানীয় ওই মহিলা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় দুই জওয়ান ওই এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। মহিলাকে দেখতে পেয়ে প্রথমে তাঁকে অশালীন প্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় নির্যাতিতাকে জোর করে আটকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয় এবং চুম্বন করে। মহিলাকে কার্যত ভয় পেয়ে চিৎকার করে ওঠে। তখন স্থানীয় বাসিন্দারা চলে আসে। তাঁদের দেখে একজন পালালেও অপরজনকে ধরে ফেলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মহিলাটি অপরজনের ব্যাচ দেখে পুলিশের কাছে তাঁর নামও বলে দেন নির্যাতিতা।

এই ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি অভিযুক্ত সিআরপিএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে শাস্তির জন্য দাবি জানাবে বলে জানিয়েছে তাঁরা। পাশাপাশি এই ঘটনার জন্য মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুললেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁর প্রশ্ন, বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে শান্তি রক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে নাকি অশান্তি সৃষ্টি, বাংলার মহিলাদের ওপর অত্যাচার করার জন্য তাঁদের এখানে পাঠানো হচ্ছে?