কলকাতা, ১৭ আগস্ট: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাসের (Samaresh Das)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। বেশ কয়েকদিন আগেই তাঁর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। বাড়ির বাকিদের করোনা টেস্ট হলেও তা নেগেটিভ আসে। তারপরে পূর্ব মেদিনীপুরের পাশকুঁড়ার বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে সমরেশবাবুর সারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বাইপাস লাগোয়া এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই এদিন প্রবীণ তৃণমূল নেতার মৃত্যু হল। ইতিমধ্যেই সমরেশ দাসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি লেখেন, “বিধায়ক সমরেশ দাসের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক জগতে শূন্যতার সৃষ্টি হল।” তাঁর পরিবারকেও সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দলীয় বিধায়কের প্রয়াণে তৃণমূল সুপ্রিমোর শোক প্রকাশ
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বিধায়ক শ্রী সমরেশ দাসের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর প্রয়াণে রাজনৈতিক জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হলো। তাঁর নিকটাত্মীয় ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই।
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 17, 2020
উল্লেক্য, মহামারী করোনা ভাইরাস রাজ্যে থাবা বসাতেই একের পর এক তৃণমূল নেতা আক্রান্ত হয়েছেন। সমরেশবাবুর আগে করোনা কেড়েছে ফলতার বিদায়ক তমোনাশ ঘোষের প্রাণ। সংক্রামিত হয়েছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুও। তাঁর বাড়ির এক পরিচারিকার শরীরে করোনা ধরা পড়ে। প্রথমে সুজিতবাবু হোম আইসোলেশনে থাকলেও পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এর আগে করোনা ধরা পড়েছিল সোদপুরের বিধায়ক নির্মল ঘোষের। সংক্রমণ ধরা পড়ার আগে প্রশাসনিক বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁরা অবশ্য সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদিনই ফের জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। মালদায় নিজের বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। এভাবে একের পর এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় চিন্তায় প্রশাসন। আরও পড়ুন-COVID-19 Cases In India: সোমবার ভারতে করোনার বলি ৫০ হাজার ছাড়ালো, মোট আক্রান্ত ২৬,৪৭,৬৬৪
তৃণমূল সূত্রের খবর, গত ১৩ জুন বালিঘাইয়ে একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেন সমরেশ দাস। করোনা উপসর্গ ধরা পড়ায় তাঁকে প্রথমে পাঁশকুড়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ আসে। নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা ছিল সমরেশবাবুর। পরবর্তী ক্ষেত্রে পাঁশকুড়ার হাসপাতাল থেকে গত ২৪ জুলাই সল্টলেকের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রথম থেকেই তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন। এ দিন ভোর ৪টে ২৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আইসিএমআর-এর নিয়ম মেনে তাঁর শেষকৃত্যের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।