ভারতে করোনাভাইরাস (Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ৩ জুন: রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের (Covid-19 cases) সংখ্যা। মঙ্গলবার সারাদিনে পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন ৩৯৬ জন। এরমধ্যে কলকাতাতেই আক্রান্ত ১১৬ জন। এই প্রথম মহানগরে এক দিনে শতাধিক আক্রান্তের খবর মিলল। এরমধ্যে অন্তত ১৮ জনই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দা। ওই আক্রান্তদের মধ্যে সাতজন মহিলা ও ১১ জন পুরুষ। পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে এঁদের টেস্ট করা হতেই কোভিড-১৯ পজিটিভ মেলে। রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক প্রবেশের পর থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষ্যণীয় হারে বাড়তে শুরু করেছে। কলকাতার পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (৭৪)। তার পরে আছে হাওড়া (৪৯), হুগলি (৩৮), কোচবিহার (৩১)।

তবে এই গণহারে আক্রান্ত বাড়তে দেখে স্বাস্থ্য দপ্তর রাজ্যের কনটেইনমেন্ট নীতিতে কিছুটা বদল আনছে। এবার থেকে পাড়ার কোনও বাড়িতে দুএক জন করোনা আক্রান্ত হলে গোটা পাড়াকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে দেগে দেওয়া হবে না। সেই আক্রান্ত বাড়িটিকে ঘিরে রাখা বেস কয়েকটা বাড়ি মিলে হবে কনটেইমনমেন্ট জোন। একইভাবে কোনও ফ্ল্যাটে যদি করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলে তবে ওই আবাসনটিকে কনটেইমনমেন্ট জোনে আনা হবে না। শুধু ফ্ল্যাটটিকে করা হবে। যদি আবাসনের কয়েকজনের শরীরে করোনা পজিটিভ মেলে তাহলে গোটা আবাসন কনটেইনমেন্ট জোনে বদলে যাবে। একইভাবে পর পর কয়েকটি টাওয়ারে আক্রান্ত বাড়লে গোটা কমপ্লেক্সটি কনটেইনমেন্ট জোনে পরিণত হবে. এভাবে কনটেইনমেন্ট জোনের পরিধি কমালে মানুষের মধ্যে আতহ্কের পরিসরও কমবে। গোটা পাড়া একজনের জন্য় আটকে পড়লে সেই এলাকা বাসিন্দারা বাইরে যেতে পারেন না। এতে আতঙ্ক আরও বেশি ছড়ায়। আরও পড়ুন-Cyclone Nisarga: আজ আলিবাগেই ল্যান্ডফল করতে চলেছে নিসর্গ ঘূর্ণিঝড়, জানালো মৌসম ভবন

গ্রামের ক্ষেত্রেও আক্রান্তর পরিবারকে দেখাশোনার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা কাজ করছেন। একই পদ্ধতি এবার শহরেও অনুসরণ করা হবে। পুলিশের পরিবর্তে স্থানীয়দের হাতেই যাবে দায়িত্বভার। অনেকের মতে এভাবে দায়িত্বের হাতবদল ঘটিয়ে কী দায়বার এড়াতে তৎপর স্বাস্থ্য দপ্তর? উত্তর খুঁজছে জনতা।