কলকাতা, ২৭ জানুয়ারি: করোনা ভাইরাসে স্তব্ধ চিন। করোনার সংক্রমণ রুখতে ইউহানকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে গোটা দেশ থেকে। বন্ধ বাস, ট্রেনও। বন্ধ স্কুল, কলেজ, দোকাপাট। কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে গোটা চিন। রবিবার রাতে করোনা ভাইরাস সন্দেহে বেলেঘাটার আইডি হাসপাতালে (Beleghata ID Hospital) এক চিনা তরুণীকে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত তিনি পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আর এরই মধ্যে বাইপাসের ধারের রুবি হাসপাতালে (Ruby Hospital) শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয় থাইল্যান্ডের (Thailand) এক তরুণীর। সেই তরুণীর মৃত্যুর (Death) সঙ্গে করোনা ভাইরাসের কোনও যোগ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।
সংবাদ প্রতিদিনের খবর অনুযায়ী, বর্ধমানের কালীবাজার আমতলার বাসিন্দা গবেষক সাম্যকুমার রায় (Samya Kumar Roy) গবেষণার জন্য গণিতে উচ্চশিক্ষার জন্য চিনের ইউহানকে বেছে নিয়েছিলেন। করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে গৃহবন্দি অবস্থায় খাওয়াদাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে তাঁর। হস্টেল থেকে ক্যান্টিন যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বছর তিরিশের বাঙালি গবেষক। চরম উদ্বেগে রয়েছেন তাঁর মা-বাবা। সবজি এবং ফল সেদ্ধ করে খাচ্ছেন তিনি। কতদিন এভাবে দিন কাটাবেন তা নিয়ে চিন্তায় তিনি। কেন্দ্রের কাছে তাঁরা আবেদন করেছেন, চিন থেকে বাঙালি তথা ভারতীয়দের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হোক। ইউহানে আটকে প্রচুর ভারতীয় ছাত্রছাত্রীও। আরও পড়ুন, করোনা ভাইরাস আতঙ্ক কাঁপাচ্ছে কলকাতাকেও, রুবি হাসপাতালে শ্বাসকষ্টে মৃত্যু থাইল্যান্ডের তরুণী
তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান,“এভাবে একা ঘরে এক সপ্তাহ ধরে বন্দি থাকলে তো অসুস্থ হয়ে পড়ব। এখন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে চাইছি। চিনা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। ওঁরা আশ্বস্ত করেছেন যে আমাদের সাহায্য করবেন। কিন্তু কবে সেই সাহায্য পাব, জানি না। ফ্রান্স সরকার যেমন ওঁদের দেশের ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আলাদা করে বিমান এবং বাসের ব্যবস্থা করেছে। শহরে তো বাস চলাচল করছে না। তাই ফ্রান্সের বিশেষ বাস শহর থেকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাবে, সেখান থেকে বিমানে ওঁরা উড়ে যাবেন ফ্রান্সে। আমাদের জন্যও যদি এরকম ব্যবস্থা করা যেত।”