মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন ব্যবহারের কারণে গত শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে (Medinipur Medical College) মৃত্যু হয়েছিল এক প্রসূতির। ওই হাসপাতালে আরও ৩ মহিলার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক। এই অবস্থায় স্বাস্থ্য বিভাগের চরম গাফিলতি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এর মাঝেই দফতরের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের স্যালাইন সহ ১০টি তরল ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ আগামীদিন কোনও রাজ্যের মেডিকেল কলেজই এই ওষুধগুলি পাওয়া যাবে না।
দেখে নিন তালিকা
যে ওষুধগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলি হল রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন (৫০০ মিলি), রিঙ্গার সলিউশন আইপি ইনজেকশন (৫০০ মিলি), প্যারাসিটআমল ইনফিউশন (১০০০ এমজি/১০০ মিলি), ডেক্সটরোজ ইনজেকশন, ন্যানিটোল ইনফিউশন, অফ্লাক্সোসিন (২০০ মিলি/১০০ মিলি), ১/২ ডিএনএস (৫০০ মিলি), লেভোফ্লোক্সাসিন (১০০ মিলি), সোডিয়াম ক্লোরাইড ইরিগেশন সলিউশন, মনিনটোল ইনফিউশন আইপি (২০%, ১০০ মিলি), পেডিয়াট্রিক মেন্টেনেন্স ইলেকট্রোলাইট সলিউশন (৫০০ মিলি)।
কর্ণাটকেও নিষিদ্ধ এই সংস্থার স্যালাইন
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, যে সংস্থার স্যালাইন নিয়ে এত বিতর্ক, সেই সংস্থাকে গত ১০ ডিসেম্বর নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল গত ১০ ডিসেম্বর। তারপরেও কেন এই সংস্থার স্যালাইন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাওয়া গেল, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এমনকী এই পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের স্যালাইন কর্ণাটক সরকারও নিষিদ্ধ করে রেখেছে।