হজ হাউস (Photo: twitter)

কলকাতা, ১ এপ্রিল: কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় থাকা ৩৯ জন বিদেশি ধর্মপ্রচারকসহ (Evangelist) মোট ৫৩ জনকে উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। তাঁদের প্রত্যেককেই রাজারহাটের (Rajarhat) হজ হাউসে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। ধর্মপ্রচারকদের দাবি, লকডাউনের ফলেই কলকাতায় এসে আটকে পড়েছেন তাঁরা। তবে ওই ধর্মপ্রচারকদের দাবির আদৌ কোনও সত্যতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের খবর অনুযায়ী, দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কাজের ঘটনা সামনে আসার পরই নড়েচড় বসেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার রাতে একাধিক জায়গায় হানা দেন তাঁরা। তল্লাশি অভিযানে নারকেলডাঙা থেকে মোট ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই থাইল্যান্ড থেকে এসেছেন। মায়ানমার থেকে আসা মোট ১৩ জন ধর্মপ্রচারককে জোড়াসাঁকো থানা এলাকার একটি ধর্মস্থান থেকে উদ্ধার করা হয়। গার্ডেনরিচের এক ধর্মস্থান থেকে মোট ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৯ জন মালয়েশিয়া এবং ৪ জন ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা। দিল্লি থেকে আসা ৪ জনকে নিউমার্কেট থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। এছাড়াও ৬ জন ভারতীয় গাইডেরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককেই রাজারহাটের হজ হাউসে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। আরও পড়ুন: Coronavirus In Kolkata:: মৃত্যু হল বেলঘরিয়ার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির

গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরা আটক হওয়া ওই ধর্মপ্রচারকদের সঙ্গে কথা বলছেন। ধর্মপ্রচারকদের দাবি, লকডাউনের জেরে কলকাতায় এসে আটকে পড়েছেন তাঁরা। তবে বিদেশ থেকে আসলেও কারও কাছে দেশে ফেরত যাওয়ার কোনও টিকিট নেই। জানা গেছে, লকডাউনে আটকে পড়লেও দূতাবাস কিংবা সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেননি ওই ধর্মপ্রচারকরা। তাই আদৌ ওই ধর্মপ্রচারকদের দাবি সত্যি কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। গোয়েন্দা আধিকারিকরা কোয়ারান্টাইনে রেখেই ধর্মপ্রচারকদের সম্পর্কে তথ্যের খোঁজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।