Starlink Hiring in India: কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র পাওয়ার পর ভারতে আনুষ্ঠানিক লঞ্চ হতে চলেছে দুনিয়ার ধনীতম ব্যক্তি ইলন মাস্কের কোম্পানি 'স্টারলিঙ্ক'! ভারতে দ্রুত বানিজ্যিকভাবে পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে মাস্কের ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থার প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল। শোনা যাচ্ছে শুরুতে ভারতে ৮০-১০০ জন পূর্ণ সময়ের কর্মী নিয়োগ করবে স্টারলিঙ্ক। যাক শুরুটা হল ভারতে কোম্পানির হিসেব-নিকেশ সামলানোর লক্ষ্যে একজন অ্যাকাউন্টিং ম্যানেজার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিল মাস্কের কোম্পানি। স্টারলিঙ্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের কেরিয়ার পেজ থেকে এই পদের জন্য আবেদন করা যাবে। আগামী দিনে কোম্পানি চালানোর জন্য আরও অনেক পদে ভারতীয়দের নিয়োগ করতে চলেছে স্টারলিঙ্ক। কলকাতাতেও গেটওয়ে স্টেশন করছে মাস্কের কোম্পানি। ফলে সেখানও কাজের সুযোগ থাকছে।
এর আগে চলতি বছরেই ভারতের টেলিকম দফতর (DoT) থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি পায় স্টারলিংক। ফলে পরিকাঠামো তৈরি ও পরিকল্পনায় আর কোনও বাধা নেই। তবে এবার কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে অপারেশনাল প্রস্তুতি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হল।
কোথায় চাকরি, কারা আবেদন করতে পারবেন?
অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার পদটি ভারতীয়দের জন্য মানে ভারতে থেকেই কাজ করতে হবে। রিমোট বা হাইব্রিড ওয়ার্ক নয়। শুধু ভারতীয় নাগরিক বা ভারতে কাজের বৈধ অনুমতি রয়েছে এমন প্রার্থীদের আবেদন নেওয়া হবে।
ভারতের বিভিন্ন শহরে গেটওয়ে স্টেশন, আছে কলকাতাও
স্টারলিংক দেশে মোট ৯টি গেটওয়ে আর্থ স্টেশন তৈরি করবে। এই তালিকায় রয়েছে- মুম্বই,নয়ডা,চণ্ডীগড়,কলকাতা,লখনউ সহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে স্টেশন চালাবেন শুধু ভারতীয় নাগরিকরা। বিদেশিদের ক্ষেত্রে লাগবে বিশেষ নিরাপত্তা ছাড়পত্র।
কবে মিলবে স্টারলিংক ইন্টারনেট?
সংস্থার লক্ষ্য, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের শুরুতেই ভারতে স্টারলিংক পরিষেবা চালু করা।
কত দাম পড়তে পারে?
স্টারলিঙ্কের মাসিক প্ল্যানের সম্ভাব্য দাম ভারতীয় মুদ্রায় ৩ হাজার ৩০০ টাকা থেকে শুরু। ব্যবহার ও লোকেশন অনুযায়ী পরিবর্তন হবে। শহর–গ্রামের ব্যবধান ঘোচাতেই স্টারলিংকের বড় লক্ষ্য। গ্রামাঞ্চলে হাইস্পিড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া। প্রথম দফায় সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ কানেকশনের অনুমতি।
প্রতিদ্বন্দ্বী কারা?
ভারতে স্টারলিংকের যাদের সঙ্গে টেক্কা দেবে-জিও স্যাটেলাইট, ইউটেলস্যাট ওয়ানওয়েব।
প্রযুক্তি ও পরিবেশ ভাবনা
স্টারলিংক ব্যবহার করবে Ka এবং Ku ব্যান্ড। স্পেসএক্স–এর Gen1 স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কই থাকবে ভরসা। স্টেশন বসানো ও স্যাটেলাইট অপারেশনে পরিবেশগত সতর্কতা মেনে চলার আশ্বাস দিয়েছে সংস্থা।
ভবিষ্যত সম্ভাবনা
স্টারলিংক সফল হলে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নতুন চাকরি হবে। ডিজিটাল অর্থনীতিতে উন্নত হবে এমনটাই আশা বিশেষজ্ঞদের। তবে চ্যালেঞ্জও আছে স্পেকট্রাম নীতি, প্রতিযোগিতা, প্রথম দিকে সীমিত কানেকশন। ভারত সরকার IN-SPACe–র মাধ্যমে ২০৩০ সাল পর্যন্ত অনুমতি দিয়েছে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ থাকছে মাস্কের সংস্থার সামনে। এবার দেখার, মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কত দ্রুত ভারতীয় বাজারে নিজের জায়গা করে নিতে পারে!