Elon Musk vs Apple: বিল গেটস থেকে জেফ বেজোস, স্যাম অল্টম্যান। অর্থ ও প্রতিপত্তির দিক থেকে তাঁর সমমানের ধনী ব্যক্তিদের দুচোখে দেখতে পারেন না দুনিয়ার ধনীতম ব্যক্তি ইলন মাস্ক। তাঁর নিজের সোশ্য়াল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে দিনরাত কাউকে না কাউকে বিষেদগার করে চলেন টেসলা সিইও। সমালোচকরা বলেন, মাস্ক এমন একজন মানুষ, যিনি চান দুনিয়াকে বাঁচাতে, কিন্তু তিনি যদি সেটা নিজে না করে, অন্য কাউকে বাঁচাতে দেখেন, তখনই তিনি খুব রেগে যান। সে হেন মাস্ক এবার ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অ্যাপেলের ওপর। কারণ অ্যাপেলের আই ফোন সহ বিভিন্ন ডিভাইসে তাঁর নিজের কোম্পানির প্রোডাক্ট 'এক্স অ্যাপ' (আগে বলা হত (টুইটার) ও গ্রোক অ্যাপ-কে অ্যাপেল স্টোরের 'মাস্ট হ্যাভ লিস্ট' বা 'অবশ্য ডাউনলোড' তালিকায় দেখাচ্ছে না।
চ্য়াট জিপি-কে অন্য়া সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ মাস্কের
অন্তত এমনই অভিযোগ, দুনিয়ার ধনীতম ব্যক্তির। মাস্কের অভিযোগ, স্যাম অল্টম্যানের চ্যাট জিপিটি-কে সুবিধা করে দিতে অ্য়াপেল স্টোরের 'মাস্ট হ্যাভ'”(অবশ্যই ডাউনলোড করতে হবে) সেকশনে রাখা হয়নি গ্রোক অ্যাপকে। এক্স-কেও অ্যাপেল স্টোরের “Must Have” বাদ দেওয়া হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে। মাস্ক দাবি করেছেন, এক্স এখন আমেরিকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় নিউজ অ্যাপ এবং গ্রোক সেখানে পঞ্চম স্থানে রয়েছে, তবুও অ্যাপেল এই অ্যাপগুলোর প্রচারে বৈষম্য করছে। এই 'বঞ্চনা'র কারণে অ্যাপলের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন টেসলা প্রধান।
মাস্কের অ্যাপেলে 'কামড়'
Grok is the smartest AI in the world on the toughest tests and just came first by far in coding, but is not mentioned at all under “AI” by Apple! pic.twitter.com/AkmfHkWhwJ
— Elon Musk (@elonmusk) August 12, 2025
মাস্কের দাবি নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
এই বিষয়ে নিয়ে আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রতি দু ঘণ্টায় অন্তর অ্যাপেলকে নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েই চলেছেন মাস্ক। এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর নিজের প্রোফাইল থেকে সরাসরি এবং তাঁর অনুগামীদের পোস্ট শেয়ার করে দুনিয়ার সামনে মাস্ক প্রমাণের চেষ্টা করছেন, মাস্ট অ্যাপেল অন্য়ায় সুবিধা করে দিচ্ছে চ্যাট জিপিটি-কে আর গ্রোক ও এক্স-কে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অ্যাপেল এই ব্য়াপারে এখনও সরকারি বিবৃতি না দিলেও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রসঙ্গত, চ্যাট জিপিটি সহকারী প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্য়ানকে বারবার বিষেদগার করতে দেখা যায় মাস্ক। চ্য়াট জিপিটি-কে নিয়েও নানা সময় তীব্র সমালোচনা করেন মাস্ক ও তাঁর অনুগামীরা।
মাস্কের বিরুদ্ধে এক্স নিয়ে উঠেছে এমন অভিযোগ
মাস্ক তাঁর নিজের প্ল্যাটফর্মে অনেক সময়ই তাঁর প্রতিযোগী সংস্থা বা ব্যক্তিদের পোস্ট বেশি রিচ দেন না বলে অভিযোগ ওঠে। গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মাস্কের সমর্থন থাকা ট্রাম্পপন্থী পোস্টই ভাইরাল হতে দেখা গিয়েছি, সেখানে ডেমোক্রাটদের পেজের রিচ একেবারে কমে যায়।