ঢাকা, ২৯ জুলাই: অলিম্পিকে কখনও কোনও পদক জেতেনি বাংলাদেশ। এই মহালজ্জাটা কষ্ট দেয় পদ্মাপাড়ের দেশকে। তবে কমনওয়েলথ গেমসের ইতিহাসে মন্দের ভাল বাংলাদেশের ২টি সোনা সহ মোট ৮টি পদক আছে। অবশ্য কুড়ি বছর হয়ে গেল, মানে গত চারটি কমনওয়েলথ গেমসে সোনার দেখা নেই বাংলাদেশের। যদিও গত চারটি কমনওয়েলথ গেমসে সোনা না জিতলেও রুপোব বা ব্রোঞ্জ পদক জিতে এসেছেন বাংলাদেশী ক্রীড়াবিদরা। তবে এবার বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে সোনা তো দূরের কথা, কোন পদক জেতার আশাও কম বাংলাদেশের। কারণ কমনওয়েলথ গেমসের ইতিহাসে জেতা সব কটা পদকই বাংলাদেশ জিতেছে শ্যুটিংয়ে। সেই শ্যুটিংই এবার বার্মিংহ্যাম গেমস থেকে বাদ পড়েছে। এমনকী এবার তিরন্দাজিও না থাকায় বাংলাদেশের পদক জেতার সম্ভাবনা একেবারে তলানিতে। তাই ২৪ বছর পর কমনওয়েলথ গেমসে পদক তালিকায় খাতা নাও খুলতে পারে শেখ হাসিনার দেশ, এমন আশঙ্কা থাকছেই।
অ্যাথলেটিক্স সহ মোট ৭ টি খেলায় বাংলদেশী ক্রীড়াবিদ-রা এবার কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেবেন। অ্যাথলেটিক্সের সব কটা ইভেন্টেই ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি। এছাড়া সাঁতার, জিমন্যাল্ট, টেবল টেনিসেও অংশ নেওয়া অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যই। বাকি থাকল বক্সিং, ভারত্তোলন ও কুস্তি। আরও পড়ুন-কমনওয়েলথ গেমসের প্রথম দিনে ভারতীয়দের কী কী খেলা
বক্সিয়ে ৫৬ কিলো বিভাগে খেলবেন সালিম হুসেনস ৬৩.৫ কিলোতে সুরা চাকমা ও হুসেন আলি। পদক জয়ের আশা কার্যত নেই। পাশাপাশি ভারত্তোলনে তিনজন মহিলা ও এক পুরুষ ভারত্তোলক খেলবেন। কুস্তিতে বাংলাদেশের দুইজন পুরুষ ও দুই মহিলা কুস্তিগীর খেলবেন। তাদেরও পদক জয়ের আশা করা হচ্ছে না। ২০০২ ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমস শ্যুটিংয়ের এয়ার রাইফেল ই্ভেন্টে সোনা জিতেছিলেন আসিফ হোসেন খান। তারপর ২০০৬-মেলবোর্নে একটি রুপো, ২০১০ দিল্লি গেমসে ব্রোঞ্জ, ২০১৪-গ্লাসগোতে একটি রুপো, ২০১৮ গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথে দুটি রুপো জিতেছিল বাংলাদেশ। ১৯৯০ অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশকে প্রথম পদক সোনা এনে দিয়েছিলেন শ্যুটার আতেউর রহমান-আব্দুস সাত্তার। এরপর ১৯৯৪ ভিক্টোরিয়া ও ১৯৯৮ কুয়ালালামপুর কমনওয়েলথ গেমসে পদকহীন ছিল বাংলাদেশ।