ভারতের মহিলা ক্রিকেটে তথা বিশ্ব মহিলা ক্রিকেটের 'হল অফ ফেম' ঝুলন গোস্বামীর (Jhulan Goswami) আজ জন্মদিন। দেড় দশক ধরে মহিলাদের ক্রিকেটে দ্রুততম বোলারদের মধ্যে অন্যতম গোস্বামী তাঁর পিচে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পুরস্কার পেয়েছেন। গত মে মাসে ক্যাথরিন ফিটজপ্যাট্রিককে টপকে মেয়েদের একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির রেকর্ড গড়েন তিনি। এখন, তিনি ভারতে আসা তরুণ ফাস্ট বোলারদের মেন্টর হিসাবে কাজ করেছেন। ১৯৮২ সালের ২৫ নভেম্বর বাংলার ঘরে জন্ম নেওয়া ঝুলন নিশিথ গোস্বামী ২০০৬ সালে ইংল্যান্ড সফরের পূর্বে জাতীয় দলের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত হন। সেখানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ে সাহায্য করেন তিনি। সেখানে লেস্টারে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে অর্ধ-শতরান করেন এবং দ্বিতীয় টেস্টে ৭৮ রানে ১০, ৩৩ বলে ৫ এবং ৪৫ রানে ৫ উইকেট নেন। CWC Viewership Record: মাঠ থেকে টিভি, সব জায়গায় রেকর্ড গড়েছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ
355 International wickets, 1924 International runs and an inspiration to an entire generation. 🫡
Happy birthday, Jhulan Goswami! 💙🇮🇳pic.twitter.com/mdgXhB2YkJ
— Lucknow Super Giants (@LucknowIPL) November 25, 2023
এ ধরনের কৃতিত্বের জন্য তিনি প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন এবং সেপ্টেম্বরে মুম্বইতে অনুষ্ঠিত ক্যাস্ট্রল অ্যাওয়ার্ডস-এ বিশেষ পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৭ সালে আইসিসি-র বর্ষসেরা মহিলা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন তিনি। এর পরপরই তিনি জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ২০১০ সালে তিনি অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হন। এর দুই বছর পর পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেন।
Mood: 🥺🥺🥺
Relive the final over of @JhulanG10's illustrious career as the champion bid adieu to International Cricket 🏏#JhulanGoswami #TeamIndia #SonySportsNetwork #SirfSonyPeDikhega pic.twitter.com/WKKWDJwA9p
— Sony Sports Network (@SonySportsNetwk) September 25, 2022
বোলিংয়ে একদিকে যেমন সেরা ছিলেন গোস্বামী, তেমনই লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যান হিসেবেও সেরা। ২০০২ সালে টনটনে (Taunton) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৪ রানের ইনিংসে ১৫৭ রানের জুটির রেকর্ড গড়েন মিতালি রাজ এবং ঝুলন গোস্বামী। সেখানে তাঁর অবদান ছিল ৬২ রানের। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডে ভারতের একমাত্র টেস্ট জয়ের পর চার উইকেট নিয়ে আয়োজকদের চাপে ফেলে দিয়েছিল গোস্বামীর দল। ২০১৫ সালে তিনি চারজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের একজন ছিলেন, যাদের প্রথমবারের মতো বিসিসিআই কর্তৃক কেন্দ্রীয় চুক্তির সর্বোচ্চ গ্রেড প্রদান করা হয়।