ইন্দোর, ১৬ নভেম্বর: IND vs BAN, 1st Test 2019- প্রত্যাশা মতোই ইন্দোর টেস্ট জিতল ভারত (India)। বাংলাদেশের (Bangladesh) বিরুদ্ধে বিরাট কোহলিরা (Virat Kohli) বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১৩০ রানে হারিয়েছে। দুই দিন বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় ভারত। সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল বিরাট কোহালির দল। ২২ নভেম্বর দ্বিতীয় টেস্টে ইডেনে মুখোমুখি হবে দুই দল। খেলা হবে গোলাপি বলে। দিন-রাতের সেই টেস্টের দিকেই এখন নজর ক্রিকেট ভক্তদের।
গতকাল ৩৪৩ রানের লিড নিয়ে রাতেই ইনিংসে ডিক্লোয়র ঘোষণা করেন ভারত অধিনায়ক বিপরোট কোহলি। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের শেষে ছয় উইকেটে ৪৯৩ তুলেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই রানেই ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ফলে, শনিবার সকাল থেকেই ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতিতে ৬০ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল তারা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে একাই লড়ছিলেন মুশফিকুর রহিম (৬৪)। তাঁকে ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মুশফিকুরের ক্যাচ দারুণ ভাবে নিন চেতেশ্বর পূজারা। অশ্বিনকে মারতে গিয়ে এবাদত হোসেনও বল তুললেন আকাশে। ক্যাচ ধরলেন উমেশ যাদব। ৪২ রানে তিন উইকেট নিলেন অশ্বিন। তবে ভারতের সফলতম বোলার হলেন মহম্মদ শামি। ৩১ রানে চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। তৃতীয় সেশনের শুরুতে মেহেদি হাসান মিরাজকে (৩৮) বোল্ড করেছিলেন উমেশ। তার আগে সপ্তম উইকেটে মুশফিকুর-মেহেদি যোগ করেছিলেন ৫৯ রান। মেহেদির পর ফেরেন তাইজুল ইসলাম (৬)। এই ইনিংসে মহম্মদ শামির চতুর্থ শিকার হন তিনি। উইকেটের পেছনে তাইজুলের ক্যাচ ধরেন ঋদ্ধিমান সাহা। আরও পড়ুন: IND vs BAN, 1st Test 2019: ভারতীয় পেসারদের দাপটে দ্বিতীয় ইনিংসেও ধুঁকছে বাংলাদেশ, ইন্দোর টেস্টে জয়ের দিকে এগোচ্ছে বিরাট কোহলিরা
শনিবার লাঞ্চের সময় ৬০ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। এদিনের দ্বিতীয় সেশনে মাহমুদুল্লাহকে (১৫) ফিরিয়েছিলেন মহম্মদ শামি। দ্বিতীয় স্লিপে তাঁর ক্যাচ ধরেছিলেন রোহিত শর্মা। ৭২ রানে পাঁচ উইকেট পড়ার পর ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিকুর-লিটন যোগ করেছিলেন ৬৩ রান। লিটনকে এর পর নিজের বলেই ক্যাচ ধরে ফিরিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।৩৯ বলে ৩৫ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেছিলেন লিটন। ১৩৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়েছিল বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুতে বাংলাদেশের ইনিংসকে চাপে ফেলেছিলেন ভারতীয় পেসাররা। ১৬ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারিয়েছিল তারা। প্রথমে ইমরুল কায়েসকে (৬) অসাধারণ ডেলিভারিতে বোল্ড করেছিলেন উমেশ যাদব। তার পর শাদমান ইসলামকে (৬) বোল্ড করেছিলেন ইশান্ত শর্মা। এর পর অধিনায়ক মোমিনুল হককে (৭) এলবিডব্লিউ করেছিলেন মহম্মদ শামি। ৩৭ রানে তিন উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেট পড়ল ৪৪ রানে। শামির বাউন্সারে মারতে গিয়ে আউট হন মহম্মদ মিঠুন (১৮)।
ভারতীয় পেসারদের সামনে একেবারেই স্বচ্ছন্দ দেখাচ্ছে না তাঁদের। শামির বলে দ্বিতীয় স্লিপে মুশফিকুরের সহজ ক্যাচ রোহিত শর্মা না ফেললে বাংলাদেশের অবস্থা আরও করুণ দেখাত। দ্বিতীয় সেশনে মাহমুদুল্লাহকে (১৫) ফিরিয়েছিলেন মহম্মদ শামি। দ্বিতীয় স্লিপে তাঁর ক্যাচ ধরেছিলেন রোহিত শর্মা। ৭২ রানে পাঁচ উইকেট পড়ার পর ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিকুর-লিটন যোগ করেছিলেন ৬৩ রান। লিটনকে এর পর নিজের বলেই ক্যাচ ধরে ফিরিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৩৯ বলে ৩৫ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেছিলেন লিটন। ১৩৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়েছিল বাংলাদেশের।
এই টেস্ট ফের দেখাল ভারতীয় ব্যাটিং কত শক্তিশালী। বিরাট কোহালি, রোহিত শর্মা রান পাননি। চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্ক রাহানে অর্ধশতরানের বেশি এগোননি। কিন্তু তারপরও প্রায় পাঁচশো তুলেছিল ভারত। যার নেপথ্যে ময়াঙ্ক আগরওয়ালের ২৪৩ রান। শেষ পাঁচ ইনিংসে এটা তাঁর দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ক্রিকেটমহলকে মুগ্ধ করেছেন ডানহাতি ওপেনার।