লস অ্যাঞ্জেলস, ১ অক্টোবর: লস অ্যাঞ্জেলসে (Los Angeles) দেখা মিলল হলিউডি রানু মণ্ডলের (Hollywoody Ranu Mondal)! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) লস এঞ্জেলস স্টেশনে গান গেয়ে ভাইরাল হলেন এক ভিখারিনী (Begger)। নাম এমিলি জামৌর্কা। রানাঘাট স্টেশনে (Ranaghat Station) 'এক পেয়্যার কা নাগমা হ্যায়' গেয়ে ভাইরাল (Viral) হয়েছিলেন রানাঘাটের রানু মণ্ডল। এখন তিনি বলিউড প্লেব্যাক সিঙ্গার (Bollywood Play Back Singer)। কিন্তু রানু একা নন, এরকম অসাধারণ প্রতিভা ছড়িয়ে রয়েছে সারা বিশ্ব জুড়েই। ঠিক তেমনই পৃথিবীর অপর প্রান্তের বড় রেল স্টেশনে খোঁজ মিলল রানু মণ্ডলের মতই প্রতিভাময়ী ভিক্ষাজীবী এমিলি জামৌর্কার (Emily Zamourka)। এমিলির অপেরা (Opera) গান ইতিমধ্যেই মন জয় করে নিয়েছে নেটিজেনদের। ভাইরাল হয়ে যা এখন ঘুরছে সোশ্যাল সাইটগুলিতে (Social Site)।
4 million people call LA home. 4 million stories. 4 million voices...sometimes you just have to stop and listen to one, to hear something beautiful. pic.twitter.com/VzlmA0c6jX
— LAPD HQ (@LAPDHQ) September 27, 2019
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ফাঁকা শুনশান লস এঞ্জেলসের সাবওয়েতে দাঁড়িয়ে এমিলি। হাতে ধরা কিছু ক্যারিব্যাগ। পেছনে একটি শপিং কার্টে রাখা সর্বস্ব। সেভাবে স্টেশনে লাইনের পাশে দাঁড়িয়েই মধুর কন্ঠে গান গাইছেন এমিলি। বেশ কঠিন অপেরা সংগীত অবলীলায় গেয়ে চলেছেন তিনি। ফাঁকা স্টেশনের শুন্যতা যেন আলাদা এক মাত্রা যোগ করেছে তাঁর গানে। তাঁর গানের সুরে যেন ভেসে যাচ্ছে স্টেশন। ভিডিওটি পোস্ট করেছে লস এঞ্জেলস পুলিস ডিপার্টমেন্টও। স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করার সময় এক নিত্যযাত্রী (Daily Passenger) হঠাৎ এমিলির গান শুনতে পান। গানে মুগ্ধ হয়ে মুহূর্তেই ক্যামেরাবন্দী করে ফেলেন এমিলির গান। আর যা এখন ভাইরাল হয়ে ঘুরছে ওয়ালে ওয়ালে। ঠিক যেন অনেকটা রানাঘাটের রানুর মতোই তাই না! আরও পড়ুন- Herbert David Kleber Google Doodle: গুগল ডুডলে আজ হার্বাট ডেভিড ক্লেবার
টুইটারে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ব্যক্তি এই ভিডিওটিতে লাইক দিয়েছেন। অনেকেই কমেন্টে জানিয়েছেন , "প্রচারের অভাবে এভাবেই হয়তো লুকিয়ে আছে কত অজানা প্রতিভা!"লস এঞ্জেলস স্টেশনে তাঁর খোঁজে হাজির হয়ে যান একাধিক সংবাদসংস্থার প্রতিনিধিরা। তাঁদের এমিলি জানান, তাঁর বয়স ৫২ বছর। কোনওদিন গান শেখেননি তিনি। তবে বেহালা ও পিয়ানো বাজানো শিখেছিলেন। মাত্র ২৪ বছর বয়সে রাশিয়া (Russia) থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসেন তিনি। শিশুদের বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখিয়ে কোনমতে চালাতেন এমিলি। তবে কয়েক বছর আগে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসায় সর্বস্ব খোয়ান। তারপর থেকে স্টেশনই আশ্রয় তাঁর। স্টেশনে এবং রাস্তায় গান করে ভিক্ষা করেই দিন গুজরান করেন তিনি।