নতুন দিল্লি, ৯ মে: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) ভাইরাল ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে ভাইরাল হয়েছিল তাঁর অসুস্থতার খবর। একটি টুইট যা ভাইরাল হয় অমিত শাহের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে। ভুয়ো ওই টুইটটিতে লেখা, যে তিনি গুরুতর অসুস্থ এবং হাড়ের ক্যান্সারে ভুগছেন। লেটেস্টলি সকলকে জানাচ্ছে যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই জাতীয় কোনও টুইট করেননি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লকডাউনের পর থেকে খবরের বাইরে।তাঁকে ফ্রন্টলাইনে দেখা যাচ্ছে না। যার ফলে জল্পনা ছিলই, তিনি কেন এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন? তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাজের ব্যস্ততা সত্ত্বেও তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রশ্ন ঘুরছিল। সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন সাংসদ ও এক সংবাদপত্রের সম্পাদক সাহিদ সিদ্দিকি টুইটারে দাবি করেন, সাংঘাতিক কিছু একটা ঘটেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাপারে জনগণকে অবহিত করতে কেন্দ্রকে অনুরোধ করেন তিনি। আরও পড়ুন, 'নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন' অমিত শাহকে পালটা তোপ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির
There is something terribly wrong with Home Minister Shri Amit Shah's health. At this critical juncture, when the entire country is in lockdown, people have the right to know about his health.
The Govt must officially release his health bulletin. I pray for his speedy recovery! pic.twitter.com/yQAr0WDk9M
— Gaurav Pandhi (@GauravPandhi) May 8, 2020
কিন্তু খবর পাওয়া যায়, অমিত শাহ কাজ নিয়ে মারাত্মক ব্যস্ত। বিশ্বজোড়া মহামারী যাতে ভারতে আর ছড়াতে না পারে সে জন্য দিনরাত কাজ করছেন তিনি। তবে সবটাই নেপথ্যে থেকে, সামনে এগিয়ে দিচ্ছেন সরকারি অফিসারদের। তাঁর স্বাস্থ্য একেবারে ঠিকঠাক রয়েছে, মন্ত্রকের যাবতীয় কাজকর্ম নিয়ম মেনে করছেন তিনি। এমনকী এই মুহূর্তে তিনি এতটাই সময়ের অভাবে ভুগছেন যে পরশু তাঁর দ্বিতীয় নাতনির জন্মগ্রহণ হলে তাকে দেখতেও গুজরাত যেতে পারেননি। ভাইজাগ কারখানা গ্যাস লিক কাণ্ডে রাত ১১টার পর্যন্ত তিনি নর্থ ব্লকের অফিসে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিমের কাজকর্মের তদারকি করছিলেন। নাতনির জন্মের জন্য বাড়ির লোক তাঁকে গুজরাতে ফেরার কথা বললেও তিনি শুধু ভিডিও কলেই দেখেছেন সদ্যজাতকে।
তবে অমিত শাহের সাম্প্রতিক ছবি শেয়ার করে অনেকে দাবি করেছেন যে তাঁর ওজন হ্রাস পেয়েছে এবং তিনি স্বাস্থ্যকর দেখছেন না। এর আগে, এই ফেক খবরটি সংস্থাগুলি একটি নিউজ চ্যানেলের ফটো-শপযুক্ত স্ক্রিনগ্র্যাবের মাধ্যমে প্রচার করেছিল, যা দাবি করেছিল তাঁর করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। স্ক্রিনগ্র্যাবটির স্ট্র্যাপলাইনগুলি এও লেখা ছিল, তার সাম্প্রতিক ইতালি ভ্রমণের সময় কোভিড-১১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তবে, এটিও মিথ্যে খবরই ছিল।