গ্রীষ্মকাল এলেই বাজার সেজে ওঠে ফলের রাজা আমে। প্রায় সকলেই ফলের রাজা আমের জন্য অপেক্ষা করে থাকে সারা বছর, কিন্তু তার দেখা মেলে শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালে। এই সময় বাজারে দেখতে পাওয়া যায় অনেক প্রজাতির আম। সারা বিশ্বে আম বিক্রি হলেও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যায় ১৫টিরও বেশি প্রজাতির আম। বিভিন্ন প্রজাতির আমের স্বাদ ও গন্ধ হয় ভিন্ন। অনেক সময় এমন আম বাজারে দেখতে পাওয়া যায়, যার নামও হয়তো অনেকেই জানে না। চেনা অচেনা স্বাদের ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির আমের স্বাদ নেওয়ার আগে জেনে নেওয়া যাক ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত আমের প্রজাতি সম্পর্কে।
- আলফানসো আম
মহারাষ্ট্রের একটি জনপ্রিয় আম হল আলফানসো আম। গোটা ভারতের অন্যতম প্রিয় আম হল আলফানসো আম। এই আমের আরেক নাম হল রত্নগিরি। এই আমের এক একটির ওজন হয় প্রায় ১৫০-৩০০ গ্রাম।
- ল্যাংড়া আম
আমের একটি বিখ্যাত প্রজাতি হল ল্যাংড়া আম। এই আমের জন্ম হয় মূলত উত্তরপ্রদেশের বেনারসে। জুলাই-আগস্ট মাসে পাওয়া যায় এই আম। প্রথম যে কৃষক এই আমের চাষ করেছিলেন, তার পা না থাকায় এই আমটির নাম দেওয়া হয় ল্যাংড়া। এই আম পেকে যাওয়ার পরও সবুজ থাকে।
- চৌসা আম
উত্তর ভারত ও বিহারে পাওয়া যায় চৌসা আম। এই আম দেখতে হলুদ ও খুব রসালো হয়। চৌসা আমের উৎপত্তি হয়েছিল উত্তর প্রদেশে। তবে বিহারের চৌসায় হুমায়ুনের সঙ্গে যুদ্ধে জয়লাভের পর শেরশাহ সুরি এই আমের নাম রাখেন চৌসা। এই আমের রং দেখেই চিনতে পারা যায়। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে আসে চৌষা আম।
- দশেরী আম
উত্তর প্রদেশের সবচেয়ে বিশিষ্ট আম প্রজাতির মধ্যে একটি হল দশেরী আম। এই আমের জন্ম হয়েছিল লখনউ-এর নিকটবর্তী গ্রাম, দুশেহরি গ্রামে, তাই এই আমের নাম দশেরী।
- মালদা আম
আম হল ফলের রাজা, তবে আমের এই বিভিন্ন প্রজাতির রাজা মনে করা হয় মালদা আমকে। মালদা আম পেয়েছে জিআই ট্যাগ। এই আমগুলো কাঁচা অবস্থায় চাটনি তৈরির জন্যও বিখ্যাত।