ভক্তদের জন্য খুলে গিয়েছে হিন্দু ধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থান বাবা বরফানির গুহা। ২০২৪ সালের ২৯ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। বাবা বরফানির এই পবিত্র তীর্থযাত্রার জন্য জম্মু থেকে রওনা হয়েছে প্রথম দল, যা দুর্গম পথ দিয়ে পৌঁছাবে বাবা বরফানির গুহায়। প্রাকৃতিক তুষার দিয়ে তৈরি এই শিবলিঙ্গকে বলা হয় স্বয়ম্ভু হিমানি শিবলিঙ্গও। এই যাত্রা বেশ কঠিন হলেও শ্রাবণ মাস জুড়ে ভক্তরা ভগবান ভোলেনাথের দর্শনে যান এই তীর্থস্থানে। এই যাত্রা শুরু করার আগে তীর্থযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়, তারপরই পাওয়া যায় ভ্রমণের অনুমতি। তবে অমরনাথ যাত্রায় যাওয়ার আগে ভক্তদের কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত।

অমরনাথ গুহাটি অবস্থিত একটি পাহাড়ি এবং দুর্গম জায়গায়। দেশের অনেক জায়গা থেকে অমরনাথ গুহায় পৌঁছানোর জন্য কোনও সরাসরি রাস্তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে দেশের যেকোনও জায়গা থেকে প্রথমে পৌঁছতে হয় জম্মু। ট্রেন, বাসের মতো যেকোনও যানবাহনের সাহায্যে জম্মু পৌঁছানো সম্ভব। ট্রেনে ভ্রমণ করলে প্রথমে পৌঁছাতে হবে উধমপুর রেলওয়ে স্টেশনে। এরপর সড়কপথে যেতে হবে শ্রীনগর। এছাড়া ফ্লাইটেও যাওয়া যাবে শ্রীনগর এবং জম্মু বিমানবন্দরে। এরপর পাহালগাম বা বালতাল থেকে শুরু হয় পরবর্তী যাত্রা। শ্রীনগর থেকে পাহলগামের দূরত্ব ৯২ কিমি এবং বালতালের দূরত্ব ৯৩ কিমি।

সমুদ্র সৈকত থেকে ৩৮৮৮ ফুট উপরে অমরনাথ গুহা হওয়ার কারণে আবহাওয়া খারাপ থাকে। ওই স্থানে কম বায়ুচাপ এবং ঠান্ডার কারণে সমস্যা হতে পারে। তাই অমরনাথ যাত্রায় যাওয়ার জন্য যাত্রীদের প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ কিমি হাঁটার অভ্যাস থাকা জরুরি। ভ্রমণের সময় হালকা খাবারের জিনিস বহন করা উচিত এবং যাত্রার সময় হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। অমরনাথ যাত্রার সময় পরিচয়পত্র এবং নাম, ঠিকানার মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি সঙ্গে রাখতে হবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নথির ফটোকপি রাখতে হবে। ব্যাগে রাখতে হবে একটি ছোট ফার্স্ট এইড বক্স। শরীরে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই ব্যথা নিরাময়ের স্প্রে, সর্দি-কাশির ওষুধ সঙ্গে থাকা জরুরি।