একটা সময় ছিল যখন চড়ুই পাখির কিচিরমিচির শব্দে সকালের ঘুম ভেঙে যেত। ছোট্ট ছোট্ট চড়ুই সবার প্রিয় পাখি। কিন্তু পরিবেশ ও অন্যান্য নানা কারণে এই পাখিটিও বিলুপ্ত হতে শুরু করেছে। চড়ুইয়ের প্রজাতি ধীরে ধীরে কমে যাওয়ায় প্রতি বছর ২০ মার্চ সারা বিশ্বে পালিত হয় বিশ্ব চড়ুই দিবস। এই দিনের মূল উদ্দেশ্য হল চড়ুই সংরক্ষণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। এবার জেনে নেওয়া যাক বিশ্ব চড়ুই দিবসের গুরুত্ব ও ইতিহাস।
প্রতি বছর, ৪০ টিরও বেশি দেশ পালন করে এই দিনটি। চড়ুইয়ের সংখ্যা হ্রাস পাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। মানবজাতির জন্যও খুবই উপকারী পাখি চড়ুই। এই পাখি খাদ্য ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বীজ, শস্য এবং লার্ভা খেয়ে, কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ এজেন্ট হিসাবে কাজ করে এই পাখি। পরাগায়ন হল উদ্ভিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে সঞ্চালন করে চড়ুই পাখি। খাদ্যের সন্ধান করার সময় ফুলের উপর বসে থাকে চড়ুই পাখি, যার ফলে পরোক্ষভাবে পরাগায়ন হয়।
নেচার ফরএভার সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া এবং ফ্রান্সের ইকো এসওয়াইএস অ্যাকশন ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় প্রথম বিশ্ব চড়ুই দিবস পালিত হয় ২০১০ সালের ২০ মার্চ। এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল চড়ুই পাখির নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য মানুষকে সচেতন করা। যাতে তাদের প্রজাতিকে বাঁচানো সম্ভব হয়। চড়ুই সংরক্ষণের জন্য বাড়ির ছাদে ও খোলা উঠানে তাদের জন্য শস্য ও জলের ব্যবস্থা করতে হবে। বাচ্চারা প্রায়শই চড়ুইদের দিকে পাথর ছুড়ে দেয়, এগুলো করা বন্ধ করতে হবে। ঘরের কোথাও চড়ুই বাসা বানালে তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে। চড়ুইয়ের ডিমকে ঈগল ও কাক থেকে রক্ষা করতে হবে।