তাইওয়ানের সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের আগে ফিলিপাইনের এক জেলের জালে ধরা পড়ে এক বিরল প্রজাতির মাছ, যা 'ডুমসডে ফিশ' নামে পরিচিত। এই বিরল প্রজাতির মাছ ধরার পর ভূমিকম্প হওয়ায় উঠে আসছে প্রাচীন কুসংস্কার। প্রকৃতপক্ষে, এই ধরনের ঘটনাগুলি আসন্ন দুর্যোগের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হয়। ডুমসডে মাছ, যা অরফিশ নামে পরিচিত, খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। জাপানি লোককাহিনী অনুসারে, জলে এই মাছ দেখতে পাওয়া আসন্ন বিপর্যয়ের লক্ষণ। সেই অনুযায়ী এই মাছটি পাওয়া যাওয়ার প্রায় ৩০ ঘন্টা পরে, প্রতিবেশী দ্বীপের দেশ কেঁপে ওঠে শক্তিশালী ভূমিকম্পে। তাই জাপানি লোককাহিনীর উপর বিশ্বাস আরও বেড়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষের।
জানা গিয়েছে, ব্রেনজেং কেয়ান নামের এক মৎস্যজীবী ভূমিকম্পের কেন্দ্রের প্রায় ৯০০ মাইল দক্ষিণে কালাংগামান দ্বীপের কাছে ধরেছিলেন ওই ডুমসডে মাছ। ১৫ কিলোগ্রাম ওজন এবং প্রায় ৫ ফুট লম্বা এই বিরল প্রজাতির মাছটিকে কাইওন দ্বারা শনাক্ত করা হয়। অরফিশ পাওয়ার খবর ছড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বাস বেড়ে যায় কিছু পুরনো কুসংস্কারের উপর। এই ঘটনাটি পুনরুজ্জীবিত করে তুলেছে অতীতের এক ঘটনা, যেখানে এই রকম পরিস্থিতির পর বিধ্বংসী ভূমিকম্প হয়েছিল।
গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী জীবগুলি টেকটোনিক গতিবিধির জন্য হতে পারে অত্যন্ত সংবেদনশীল। যদিও ২০১৯ সালের দেখতে পাওয়া অরফিশ এবং ভূমিকম্পের কার্যকলাপের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের ভাবনা ভুল বলা হয় বিশেষজ্ঞদের তরফে, সবটাই কাল্পনিক ও কুসংস্কার বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে এই বারে ফের একই ঘটনা ঘটায় ওরফিশের রহস্যময় প্রকৃতি, প্রাচীন বিশ্বাস এবং কল্পনার উপর উঠেছে প্রশ্ন। প্রকৃতির রহস্যময় লক্ষণগুলি নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সন্দেহ।