ইরাকের পাহাড়ে সেই খোদাই মূর্তি(Photo Credit: Twitter)

বাগদাদ, ২৭জুন:  রামচন্দ্র, (Lord Ram) এখন এই নামেই ভক্তি এবং ভোট দুটোই বিকোচ্ছে। থুড়ি অপরাধ নেবেন না, জয় শ্রী রাম বললে একদল খুশি হলেও অপর দল কিন্তু আপনাকে গারদে পুরতে পারে। তাই সাবধান, রাজনীতি ও ধর্মের সহাবস্থান থেকে দূরে থাকুন। তবে সে আর হল কই ফের রামচন্দ্র হানা দিলেন, এবার একেবারে ম্লেচ্ছদের দেশে মধ্যপ্রাচ্যের ঘটমান দেশ ইরাক। সেখানকার পাহাড়ের গায়ে নাকি ভগবান রামচন্দ্রের মূর্তি খোদাই করা আছে। তাঁর সামনে হাঁড়ু মুড়ে বসে আছে স্বয়ং হনুমান। ইরাক থেকে ফিরে এই দাবিই করেছেন একদল ভারতীয়। আরও পড়ুন-ঘুমন্ত মহিলা যাত্রীকে বন্ধ বিমানে রেখেই চলে গেল সকলে, একা অন্ধকারে কী করলেন টিফানি অ্যাডামস?

বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়লেও তাতে আমল দিতে নারাজ বাগদাদ প্রশাসন। অযোধ্যা সৌধ সংস্থানের (Ayodhya Shodh Sansthan) তরফে প্রথম একথা বলা হয়েছিল। ইরাকের (Iraq) পাহাড়ে নাকি রামচন্দ্র ও হনুমানের মূর্তি খোদাই করা আছে। বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে দেশের সরকারকে ইরাকের সেই স্থানে প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য অনুরোধ করে অযোধ্যা সৌধ সংস্থান। সেইমতো চলতি মাসেই ইরাকে অবস্থিত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রদীপ সিং রাজপুরোহিতের নেতৃত্বে একদল ভারতীয় ঘটনাস্থলে যান। সেখানকার হোরেন শেখান এলাকার দরবন্দ-ই-বেলুলায় একটি পাহাড়ের গায়ে খোদাই করা এক রাজার মূর্তি দেখেন তাঁরা। সেই মূর্তি রাম ছাড়া আর কারও নয় বলেই বিশ্বাস অযোধ্যা সৌধ সংস্থানের। মূর্তির কাছে ইরাকি পুরাতাত্ত্বিক সংস্থার ফলক থেকে জানা যাচ্ছে, আনুমানিক দু’হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দে মূর্তিটি খোদাই করা হয়েছিল। মূর্তিটি তির-ধনুক হাতে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তির। প্রতিনিধি দলটিও ইরাক থেকে ফেরার পর অযোধ্যা সৌধ সংস্থানের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েছে।

তবে ভারতীয়দের এই তত্ত্ব মানতে নারাজ ইরাক। ইরাক সরকারে দাবি স্থানীয় পাহাড়ি আদিবাসীদের রাজ তারদুন্নির মূর্তি ওটি। আর তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে বসা মানুষ আসলে একজন বন্দি। ইরাকি পুরাতাত্ত্বিক গবেষকদের দাবি, এই মূর্তির হুবহু রূপ সেদেশের বিভিন্ন পাহাড়ে ছড়িয়ে আছে। মূর্তির কোমর থেকে ঝুলছে ছোট্ট ছোরা। এই মূর্তি কোনওভাবেই রামচন্দ্র হতে পারে না বলেই মনে করেন ইরাকের ইতিহাসবিদ পুরাতাত্ত্বিক গবেষকরা।