Credits: Picryl

প্রধানত লালা গ্রন্থি ফুলে যাওয়ার জন্য পরিচিত মাম্পস ভাইরাস সংক্রমণ। মাম্পস ভাইরাস সংক্রামিত ব্যক্তির কাশি, হাঁচির কারণে এই ভাইরাস ছড়ায়, এর সঙ্গে সংক্রামিত ব্যক্তির ব্যবহৃত বাসন ব্যবহার করলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত সংক্রমণের ১২-২৫ দিন পরে দেখতে পাওয়া যায় মাম্পসের লক্ষণগুলি। এর লক্ষণগুলি হল জ্বর, মাথা ও পেশী ব্যথা, ক্লান্তি এবং খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাওয়া। মাম্পসের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হল এক বা উভয় প্যারোটিড গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, যা কানের ঠিক নীচে এবং সামনে অবস্থিত। কিছু ক্ষেত্রে, মাম্পস মেনিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস, বধিরতা এবং অরকাইটিস বা ওওফোরাইটিসে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

সাধারণত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিজের থেকেই সুস্থ হয়ে যায় মাম্পস ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিরা। তবে এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর বিশ্রাম এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা। এছাড়া জ্বর এবং ব্যথা কমানোর জন্য চিকিৎসকের দেওয়া ব্যথা উপশমকারী ওষুধ খেতে হবে। ফোলা গ্রন্থিগুলিতে গরম বা ঠান্ডা প্যাক ব্যবহার করলে অস্বস্তি দূর হবে। হাম, মাম্পস এবং রুবেলার টিকা দেওয়া থাকলে এই রোগগুলো থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। সাধারণত এই টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয়, প্রথম ডোজ ১২-১৫ মাস বয়সে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয় ৪-৬ বছর বয়সে।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অল্প বয়স্ক, প্রাপ্তবয়স্ক এবং কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে মাম্পের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে কিছু উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে MMR ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ। ছাত্রাবাসে বসবাসকারী কলেজের পড়ুয়া বা মাম্পসের প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন এলাকায় ভ্রমণকারীদের জন্য এই ডোজ। মাম্পস এমন একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। মাম্পস এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত জটিলতা প্রতিরোধ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল টিকা। পরিচিত কারোর মাম্পসের উপসর্গ থাকলে সঠিক রোগ নির্ণয় এবং ব্যবস্থাপনার জন্য চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।