কোজাগরী লক্ষ্মী (Photo Credits: wikimedia commons)

দুর্গাপুজো (Durga Puja) শেষ হতে না হতেই বাঙালির (Bangali) ঘরে তোরজোড় শুরু হয়ে যায় লক্ষ্মী পুজোর (Laxmi Puja)। ঘরে ঘরে এই পুজো হয় কোজাগরী পূর্ণিমার (Kojagari Purnima) দিনে। ধন, যশ, খ্যাতি, সুস্বাস্থ্যের দেবী লক্ষ্মীর (Devi Laxmi) আরাধনায় মেতে ওঠে বাংলার প্রতিটা পরিবার। গৃহস্থ ছাড়াও যে সব মণ্ডপে দুর্গাপুজো হয়, সেখানেও বেশিরভাগ সময়ে লক্ষ্মী পুজো হয়ে থাকে। ‘কোজাগরী’কথাটির অর্থ ‘কে জেগে আছ?’ হিন্দু পুরাণ মতে, আশ্বিনের এই পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী এসে ঘরে ঘরে খোঁজ নিয়ে যান, কে জেগে আছে। এই রাতে যে ব্যক্তি জেগে অক্ষক্রীড়া করে তাঁর ঘরেই প্রবেশ করেন দেবী লক্ষী।

বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের (Aswin) শেষ পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। বাঙালি হিন্দুর ঘরে এ এক চিরন্তন প্রার্থনা। অনেকেই সারা বছর প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করে থাকেন। এছাড়া শস্য সম্পদের দেবী বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মীর পুজো হয়। উল্লেখ্য, খারিফ শস্য ও রবি শস্য ঠিক যে সময় হয় ঠিক সেই সময় বাঙালি মেতে ওঠে লক্ষ্মীর আরাধনায়। তবে পুজোর উপাচার পরিবর্তন হয় মাস ভেদে। এই বছর ১৩ অক্টোবর লক্ষী পুজো। দেখে নেওয়া যাক, এ বছরের কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি (Date And Timing)-

আরও পড়ুন: কামিনী রায়ের ১৫৫ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাল গুগুল ডুডুল

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে:

কোজাগরী পূর্ণিমা আরম্ভ- ২৫ আশ্বিন ১৪২৬, শনিবার। (ইং তারিখ: ১২/১০/২০১৯)। সময়: রাত্রি ১২টা ৩৭ মিনিট থেকে।

কোজাগরী পূর্ণিমা শেষ- ২৬ আশ্বিন ১৪২৬, রবিবার। (ইং তারিখ: ১৩/১০/২০১৯)। সময়: রাত্রি ২টো ৩৮ মিনিট পর্যন্ত।

গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে:

পূর্ণিমা আরম্ভ- ২৪ আশ্বিন ১৪২৬, শনিবার। ( ১২/১০/২০১৯)। সময়: রাত্রি ১২টা ৩ মিনিট থেকে।

পূর্ণিমা শেষ- ২৫ আশ্বিন ১৪২৬, রবিবার। (১৩/১০/২০১৯)। সময়: রাত্রি ১টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত।

কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর প্রকৃষ্ট সময় কিন্তু প্রদোষকাল অর্থাৎ সন্ধেবেলা (Evening)। সূর্যাস্তের পর থেকে দু'ঘণ্টা পর্যন্ত যে সময় সেই সময়ই এই পুজোর জন্য আদর্শ। প্রদোষ থেকে রাত্রি পর্যন্ত তিথি থাকলেও প্রদোষেই পুজো বিহিত। তবে আগেরদিন রাত্রি থেকে পরদিন প্রদোষ পর্যন্ত তিথি থাকলেও পরদিন প্রদোষেই পুজো করা বিধেয়। আবার আগের দিন রাতে তিথি থাকলেও যদি পরদিন প্রদোষে তিথি না থাকে তাহলে আগেরদিন প্রদোষেই পুজো করা কর্তব্য।