নাটকে শুধু লোকশিক্ষাই হয় না, নাটক নিজেকে নিজের সঙ্গে পরিচিত হতে শেখায়। নাটক এক অস্ত্র, প্রতিবাদের এবং প্রতিরোধেরও। তাই শতাব্দী ধরে, থিয়েটার মানুষকে জুড়ে জুড়ে রাখার অন্যতম শক্তিশালী শিল্পমাধ্যম হিসেবে নিজেকে ধরে রেখেছে। ২৭ মার্চ সারা বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয় বিশ্ব থিয়েটার দিবস (World Theatre Day 2024)। চলচ্চিত্রের বিবর্তনের আগে মানুষ নাটককেই বিনোদনের উৎস হিসেবে উপভোগ করত। সময় এগোতে এগোতে শুধু আর বিনোদন নয় মানুষের সমবেত কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠে থিয়েটার। সমাজকে প্রতিফলিত করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয় থিয়েটার। বিশ্ব থিয়েটার দিবস (World Theatre Day 2024) তাই নাটক সংরক্ষণ ও নাটকের প্রচারের জন্যও উদযাপিত হয়।
আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট ১৯৬২ সাল থেকে সারা বিশ্বে এই দিনটি উদযাপন করে চলেছে। বিশ্ব থিয়েটার দিবসের (World Theatre Day 2024) প্রথম বার্তাটি লিখেছিলেন ফরাসি নাট্যকার জ্যঁ কক্টো। প্রথম আইটিআই সম্মেলন ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে এবং দ্বিতীয়টি ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। থিয়েটার শুধুই মঞ্চের নয়, থিয়েটার রাস্তার, থিয়েটার গলির, থিয়েটার ড্রয়িং রুমেরও, থিয়েটার মাঠের, থিয়েটার মাথার। শুধু গল্প বলা থিয়েটারের কাজ না, থিয়েটার মানুষকে এমন আশ্চর্য বিষয়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় যেখান থেকে চোখ বুঁজে ফিরে আসার পথ থাকে না। তাই থিয়েটার আর শুধুই শিল্প নয়। থিয়েটার চেতনার এক অন্য ভাষাও। থিয়েটারে এখন দর্শকরা শুধুই দর্শক নন, তাঁরাও হয়ে উঠতে পারেন নাটকের প্রক্রিয়ার অংশ। অভিনয়ের মাধ্যম, প্রচেষ্টা এবং প্রতি নাট্যশিল্পী তথা নাট্য কর্মীর অবদান সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোই এই দিনটির তাৎপর্য।