নববর্ষ (Bengali New Year) মানেই মিষ্টির প্যাকেট, নতুন ক্যালেন্ডার আর একটা লাল হালখাতা। কার, কত টাকা বকেয়া, তা হিসেব-নিকেশ করে পুরনো হালখাতাকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে স্বাগত জানানোর দিন পয়লা বৈশাখ (Poila Boisakh)। তবে টেকনলজির দুনিয়ায় আজ এসব যেন বড়ই বেমানান। দোকানে দোকানে ঠাঁই পেয়েছে কম্পিউটার। সেখানেই মুহূর্তের মধ্যে হয়ে যায় সমস্ত হিসেবপত্তর। প্রয়োজন ফুরোচ্ছে হালখাতার (Halkhata)। তবে, কলকাতার অলিগলিতে ঢুঁ মারলে এখনও দেখা যাবে সেই ঐতিহ্য। মাটির মধ্যে 'বাবু হয়ে বসে' মোটা কাঁচের চশমা পরে হিসেব-নিকেশ করেন দোকানের মালিকেরা। আরও পড়ুন: Shubo Nabo Barsho 2020: শুভ নববর্ষ পালিত হওয়ার কারণ এবং তাৎপর্য, জেনে নিন কী কী করা হয় এই উৎসবে?
নববর্ষ মানেই মিষ্টির প্যাকেট, নতুন ক্যালেন্ডার আর একটা লাল হালখাতা। লাল খাতার ওপর সিঁদুর দিয়ে আঁকা হয় স্বস্তিক চিহ্ন। সিঁদুর জলে গুলে এক টাকার কয়েন হালখাতায় লাগানো হয়। দোকানে আনা হয় লক্ষ্মী-গনেশের মূর্তি। পুজো করে সেই মূর্তি দোকানে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর সেই পুজোতে এলে সব ক্রেতাদের মিষ্টির প্যাকেট দেন দোকানের মালিকেরা। আর সেই সঙ্গে হালখাতার হিসেব-নিকেশ মেটানোর পালা চলে। তবে, অনলাইন শপিং, মোবাইল ব্যাঙ্কিং এবং দোকানে-দোকানে কম্পিউটার থাকায় হালখাতার প্রয়োজন আজ ফুরিয়েছে।
তবে এই হালখাতার পিছনে রয়েছে এক অন্য ইতিহাস। আগে মানুষ ছিল যাযাবর, যখন কৃষিই ছিল তাদের বেঁচে থাকার রসদ। তখনও টাকার প্রচলন হয়নি। চলত বিনিময় প্রথা। চাষের ফসল বিক্রি করে পরিবর্তে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেন চাষীরা। আর সেই দ্রব্য-বিনিময়ের হিসেব রাখার জন্য একটি লোককে দায়িত্ব দেওয়া হত। সে একটি খাতায় সেই হিসেব-নিকেশ রাখতেন, সেই খাতার নামই হল 'হালখাতা।