সর্দি কাশি শুধু বর্ষা বা শীত নয় গরমেও বড়মাপের শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই মুহূর্তে ভোটের গরমকে উহ্য রেখেই রোদ্দুরে পুড়ছে গোটা বাংলা। কলকাতা-সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের অবস্থা সাঙ্ঘাতিক। বেলা ১০টা বাজলে আর বাড়ির বাইরে পা দেওয়া যাচ্ছে না। ফ্যান ছাড়া একমুহূর্ত কাটানো যেন নরক যন্ত্রণার শামিল। আর ঘেমেনেয়ে ফিরলে তো এক গ্লাস সরবত নিদেনপক্ষে ঠান্ডা জল পেলে মনে হচ্ছে স্বর্গ মুঠিতে ধরা দিয়েছে। আর ফ্যানের হাওয়ায় ঠান্ডা ঠান্ডা সরবত সুখানুভূতির আবেশ ছড়ালেও অচিরেই সর্দিগর্মির(sun stroke) কবলে পড়তে হচ্ছে। এই গরমেই ঠান্ড লেগে জ্বর জ্বর ভাব সঙ্গে কাশি। একে গরমে অতিষ্ঠ তায় এই সর্দিগর্মি বিপাকে ফেলবে সন্দেহ নেই। তাই বাইরে বেরোতে মন না চাইলে ঘরোয়া উপায়ে বানিয়ে ফেলুন কাশির অব্যর্থ দাওয়াই কফ সিরাপ(Cough syrup) ।
আপনার রান্নাঘরে থাকা সামান্য কিছু উপকরণেই আপনি খুব কম সময়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন কফ সিরাপ৷ মধু এবং আদা মরশুম পরিবর্তনের যেকোনও রোগকে দূরে রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী৷ তাই কফ সিরাপ তৈরির জন্য নিন মধু ও আদা(Honey & Ginger)৷ এক কাপ জলও নিতে হবে আপনাকে৷ এছাড়াও সঙ্গে লাগবে লেবুর রস৷ গোলমরিচ(Black pepper)ও আমাদের শরীরের উষ্ণতা ধরে রাখতে সাহায্য করে৷ তাই এই কফ সিরাপে দিতে হবে সামান্য পরিমাণ গোলমরিচ৷ এছাড়াও ১ চামচ ভিনিগার দিতে হবে ওই কফ সিরাপে৷
কীভাবে তৈরি করবেন কফ সিরাপ?
একটি পাত্রে এক কাপ জল ঢেলে দিন৷ এবার গ্যাস জ্বেলে ওই পাত্রটি বসান৷ জলের মধ্যে একে একে লেবুর রস, মধু, আদা কুচি, গোলমরিচ, ভিনিগার(Vinegar) দিয়ে দিন৷ পুরোপুরি ফুটে যাওয়ার পর নামিয়ে ফেলুন৷ ঠান্ডা হয়ে গেলে মিশ্রণটি একটি কাচের গ্লাসে ছেঁকে নিন৷ গোলমরিচ যেকোনও সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে৷ মধু সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে৷ তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ওই কফ সিরাপ পান করলে দেখবেন কাশি আপনার কাছ থেকে বিদায় নিতে বাধ্য৷