বর্তমানের পরিবর্তিত জীবনধারা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সাধারণ হয়ে উঠছে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে অনেক গুরুতর রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনির সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। পরিবারের কেউ উচ্চ রক্তচাপে ভুগলে তাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।

উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে এমন রোগীদের খাদ্যতালিকা থেকে সোডিয়ামের ব্যবহার কমানো উচিত। এছাড়াও, উচ্চ ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। খাদ্যতালিকায় কিছু ফল অন্তর্ভুক্ত করে প্রাকৃতিকভাবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং এটি হৃদয়কেও সুস্থ রাখতে পারে। চলুন এমন কিছু ফলের বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়, এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি সোডিয়ামের প্রভাব কমায় এবং রক্তনালীগুলিকে শিথিল করে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়া উচিত‌। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কলার মতো কমলালেবুও উপকারী। কমলালেবুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় এটি কার্যকর হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের রোগী হলে নিয়মিত কমলালেবু খাওয়া উচিত।

তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে, যার কারণে এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এই ফলটি রক্তচাপ রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। পটাশিয়াম, লাইকোপিন, ভিটামিন সি এর মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় তরমুজে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এগুলো উপকারী। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। কিউইতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা রক্তচাপ কমাতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিউই অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের রোগে এটি বেশি কার্যকর।