গর্ভাবস্থায় শরীরে অনেক পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায় এবং প্রসবের পর নারীর শরীর আগের মতো থাকে না। প্রসবের পরে বেশিরভাগ মহিলার একটি সাধারণ সমস্যা হল পেটের চর্বি বৃদ্ধি। গর্ভাবস্থায় শরীরে অতিরিক্ত চর্বি বাড়তে শুরু করে, যার কিছু অংশ প্রসবের পরেও থেকে যায়, বিশেষ করে পেটের চারপাশে। তবে একটু পরিশ্রম এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এই বাড়তি চর্বি সহজেই কমানো সম্ভব।
প্রসবের পর পেটের চর্বি কমানোর প্রথম ধাপ হল সঠিক ডায়েট। ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে উচ্চ প্রোটিন যুক্ত এবং কম কার্বোহাইড্রেট খাবার। গোটা শস্য, ডাল, সবুজ শাকসবজি, ফলমূল এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার পেট হালকা রাখে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই সময় চিনি এবং ভাজা খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত, কারণ এগুলো চর্বি বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এই সময় খাবারের পাশাপাশি জল পান করার বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।
প্রসবের পর শরীরে পানিশূন্যতা হতে পারে, তাই পর্যাপ্ত জল পান করা উচিত। জল মেটাবলিজমকে সুস্থ রাখে এবং পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও জল শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রসবের পর শরীরকে ফিট রাখার জন্য হালকা ব্যায়াম খুবই জরুরি। শুরুতে হালকা হাঁটা, যোগব্যায়াম এবং পেলভিক ফ্লোর ব্যায়ামের মতো সহজ ব্যায়াম দিয়ে শুরু করতে হবে। এই ব্যায়ামগুলি পেটের পেশীগুলিকে টোন করে এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
বুকের দুধ খাওয়ানো শিশুর পাশাপাশি মায়ের স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি কমতে থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি পেটের মেদ কমানোর একটি প্রাকৃতিক উপায়। এছাড়া ঘুমের সরাসরি প্রভাব পড়ে শরীরে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়, যা পেটের চর্বি বাড়াতে পারে। তাই প্রসবের পর ভালো ঘুম জরুরি। এটি শরীরকে শিথিল করার পাশাপাশি পেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।