Credits: Pixabay

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। সময়ের সঙ্গে ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। ত্বকের যত্নের জন্য প্রাকৃতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুবই উপকারী। সকলের রান্নাঘরে পাওয়া যায় নারকেল তেল এবং হলুদ, যা চমৎকার বিকল্প। নারকেল তেল এবং হলুদে উপস্থিত অ্যান্টি-বার্ধক্য বৈশিষ্ট্য মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের বার্ধক্যের ছাপ কমানোর পদ্ধতি এবং নারকেল তেল ও হলুদের উপকারিতা সম্বন্ধে বিস্তারিত।

ত্বককে তরুণ এবং উজ্জ্বল রাখতে নারকেল তেল খুবই উপকারী। নারকেল তেলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করতে সহায়তা করে এবং এতে উপস্থিত প্রাকৃতিক চর্বি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে পুষ্টি জোগায় ও ত্বকের বলিরেখা কমায়। নারকেল তেলের সঙ্গে হলুদও ত্বকের জন্য উপকারী। প্রাচীনকাল থেকে ত্বকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে হলুদ। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। নারকেল তেলের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের ট্যান কমে যায় এবং প্রাকৃতিক আভা দেখতে পাওয়া যায়।

১ চামচ খাঁটি নারকেল তেলে ১ চিমটি হলুদের গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর পরিষ্কার মুখে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। নারকেল তেল এবং হলুদের মিশ্রণ ত্বকে উপস্থিত ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, যার ফলে ত্বক পরিষ্কার এবং নরম থাকে। এছাড়া ত্বকে ব্রণ ও ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এবং হলুদের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ত্বকের সংক্রমণ দূর করে। হলুদ এবং নারকেল তেলের এই মিশ্রণ ট্যানিং পরিষ্কার করে ত্বককে উজ্জ্বল করে, ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায় এবং ত্বককে সতেজ রাখে।