বিশ্বের প্রাচীনতম ভাষাগুলির মধ্যে একটি হল সংস্কৃত। এই ভাষাকে দেবতাদের ভাষাও বলা হয়। বিশ্বের প্রাচীনতম ভাষাগুলির মধ্যে একটি হওয়ার গৌরব অর্জন করা এই ভাষাটি ভারতীয় ইতিহাসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রতি বছর পালন করা হয় বিশ্ব সংস্কৃত দিবস। ২০২৪ সালে বিশ্ব সংস্কৃত দিবস পালন করা হয় ১৯ আগস্ট। সংস্কৃত ভাষার পুনরুজ্জীবন ও সংরক্ষণের জন্য পালন করা হয় বিশ্ব সংস্কৃত দিবস।
বিশ্বাস করা হয় যে প্রায় ৩৫০০ বছর আগে সংস্কৃত ভাষার উদ্ভব হয়েছিল ভারতে। প্রথমবার সংস্কৃত দিবসের আয়োজন করা হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। এই দিনের উদ্দেশ্য হল সংস্কৃতের পুনরুজ্জীবন সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এটি প্রচার করা। ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে সংস্কৃতের স্থানকে তুলে ধরা হয় এই দিনে। সাহিত্যের দৃষ্টিকোণ থেকে বললে, সংস্কৃত প্রধানত দুটি যুগে বিভক্ত, একটি হল বৈদিক, অন্যটি শাস্ত্রীয়।
বৈদিক সংস্কৃত মূলত ঋগবেদ, উপনিষদ এবং পুরাণের একটি অংশ। খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ থেকে ৫০০ সালের মধ্যে রচিত হয়েছিল বেদ। বর্তমান যুগেও হিন্দু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও অনুশীলনে সংস্কৃত ভাষার একটি বিশিষ্ট স্থান রয়েছে। বর্তমান যুগেও পুজো এবং মন্ত্র জপ করা হয় সংস্কৃত ভাষায়। তাই সংস্কৃত ভাষাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিশ্ব সংস্কৃত দিবসে। সংস্কৃত ভাষার প্রচার ও প্রশংসা করার জন্য এবং ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করা হয় এই দিনে।