বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীকে বলা হয় বরুথিনী একাদশী। ২০২৪ সালে বরুথিনী একাদশী পালন করা হবে ৪ মে। এই উপবাস পালন করলে জীবন পাপ মুক্ত হয়। পাশাপাশি এই উপবাস করলে পূর্বপুরুষদের মোক্ষ লাভ হয়। মান্যতা রয়েছে, বরুথিনী একাদশীর কারণে স্বর্গ লাভ করেছিলেন রাজা মান্ধাতা। ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে, নর্মদা নদীর তীরে একটি রাজ্য ছিল, যার রাজা ছিলেন মান্ধাতা। তিনি ছিলেন একজন দানশীল ও তপস্বী। একদা একবার বনে তপস্যা করার সময় একটি ভাল্লুক এসে রাজা মান্ধাতার পা খেতে শুরু করার পর রাজাকে টেনে নিয়ে যায় বনের ভিতর।

রাজা মান্ধাতার তপস্যা ভঙ্গ হওয়ায় যন্ত্রনায় হরি বিষ্ণুর ধ্যান করতে শুরু করেন রাজা মান্ধাতা এবং নিজের প্রাণ রক্ষার জন্য প্রার্থনা করেন। রাজার প্রার্থনা শুনে ভাল্লুককে বধ করেন ভগবান বিষ্ণু। এরপর ভগবান বিষ্ণুর কাছে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা উপশমের সমাধান চেয়েছিলেন রাজা। ভগবান বিষ্ণু বলেন, রাজা তার পুরোনো কৃতকর্মের ফল ভোগ করছেন। ভগবান বিষ্ণু রাজাকে বলেন মথুরায় গিয়ে বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর উপবাস করলে সকল কষ্ট থেকে মুক্তি মিলবে।

ভগবান বিষ্ণুর আদেশে বরুথিনী একাদশীর উপবাস করেন রাজা মান্ধাতা। এই উপবাসের পর রাজার শরীর নিখুঁত হতে শুরু করে। সেই থেকে গুরুত্ব বেড়ে যায় বরুথিনী একাদশী উপবাসের। মান্যতা রয়েছে, এই উপবাসের মাধ্যমে ইহকাল ও পরকাল উভয় জগতেই সুখ লাভ হয়। বরুথিনী একাদশীর উপবাস করলে পাওয়া যায় ১০ হাজার বছরের তপস্যার ফল।