গোটা বছরে পালন করা হয় মোট ২৪টি একাদশী, অর্থাৎ প্রতি মাসে পালন করা হয় দুটি একাদশী। পুরাণে সর্বোত্তম উপবাস বলে মনে করা হয় একাদশীর উপবাসকে। প্রতি মাসের একাদশীর বিশেষ গুরুত্ব থাকলেও জ্যৈষ্ঠ মাসের নির্জলা একাদশী ২৪টি একাদশীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিবাহিত নারী ও তপস্বীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন নির্জলা একাদশীর। ২০২৪ সালে নির্জলা একাদশী পালন করা হবে ১৮ জুন, মঙ্গলবার। নির্জলা অর্থাৎ এই উপবাসের সময় পান করা যাবে না জলও। নির্জলা একাদশী পরিচিত ভীমসেনী একাদশী ও পাণ্ডব একাদশী নামেও।
পঞ্জিকা অনুসারে, ২০২৪ সালের জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি শুরু হবে ১৭ জুন সকাল ০৪:৪৩ মিনিটে এবং শেষ হবে পরের দিন ১৮ জুন সকাল ০৬:২৪ মিনিটে। বিষ্ণু পুজোর সময় হল ১৭ জুন সকাল ০৮:৫৩ মিনিট থেকে দুপুর ০২:০৭ মিনিট পর্যন্ত। নির্জলা একাদশীর উপবাস পালন করতে হবে ১৮ জুন সকাল ০৫:২৪ মিনিট থেকে ১৯ জুন সকাল ০৭:২৮ মিনিট পর্যন্ত, কারণ এই দিনে দ্বাদশীর সময় শেষ হবে সকাল ০৭:২৮ মিনিটে। নির্জলা একাদশীর সূর্যোদয় থেকে পরের দিন দ্বাদশীর সূর্যোদয় পর্যন্ত নির্জলা উপবাস করতে হয়, এই সময় জল ও খাদ্য গ্রহণ করা যায় না। একাদশীর দিন সকালে পুজো করা হয় ভগবান বিষ্ণুর।
বছরের অন্যান্য একাদশী উপবাসের মতো নির্জলা একাদশীর উপবাসে খাদ্য সংযমের পাশাপাশি জল পান না করাও জরুরি। কিংবদন্তি অনুসারে, ব্যাসজির কাছে মোক্ষলাভের উপায় জানার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সর্বভুক ভীমসেন। তখন ব্যাসজি তাকে একাদশীর উপবাস করার কথা বলেন, কিন্তু ক্ষুধা সহ্য করতে না পারার কারণে ভীমসেনের জন্য কঠিন হয়ে যায় প্রতি মাসে উপবাস করা। তখন নির্জলা একাদশী উপবাস করার কথা বলেন ব্যাসজী। তার সঙ্গে ব্যাসজী বলেন এই উপবাস করলে বছরের ২৪ একাদশীর ফল পাওয়া যাবে। নির্জলা একাদশীর উপবাসের কারণে মোক্ষ লাভ করার পাশাপাশি স্বর্গ লাভ হয় ভীমসেনের।