সনাতন ধর্মে নবরাত্রি উৎসবের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নবরাত্রির পবিত্র উৎসবে পুজো করা হয় মা দুর্গার ৯টি ভিন্ন রূপের। মান্যতা রয়েছে যে এই ৯ দিন উপবাস করে দেবী দুর্গার নয়টি রূপের পুজো করলে সব সময় সঙ্গে থাকে মা ভগবতীর আশীর্বাদ। ২০২৪ সালের ১০ এপ্রিল চৈত্র নবরাত্রির দ্বিতীয় দিন, এদিন পুজো করা হয় মা ব্রহ্মচারিণীর। মা ব্রহ্মচারিণীকে বলা হয় তপস্যার দেবী। এই দিনে মা ব্রহ্মচারিণী রূপে দেবী দুর্গার আরাধনা করলে বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব কমে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক মা ব্রহ্মচারিণীর সম্পর্কে বিস্তারিত।

দেবী দুর্গার দ্বিতীয় রূপ, মা ব্রহ্মচারিণী। ব্রহ্মা অর্থ 'তপস্যা' এবং চারিণী অর্থ 'আচার', তথা ব্রহ্মচারিণীর অর্থ হল তপস্যা করা শক্তির মাতা। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, নিয়ম মেনে দেবী ব্রহ্মচারিণীর আরাধনা করলে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি লাভ হয়। তপস্যার দেবী হওয়ায় মা ব্রহ্মচারিণীর পুজো করলে দীর্ঘায়ু লাভ হয়। নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে, ব্রহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরতে হবে। এরপর অখন্ড দীপ, একটি সহায়ক প্রদীপ এবং ধূপ জ্বালাতে হবে।

মা ব্রহ্মচারিণীকে পঞ্চামৃত ও গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানোর পর মন্ত্র জপ করে পুজো করতে হবে। মা ব্রহ্মচারিণীকে অর্পন করতে হবে পদ্ম ও হিবিস্কাস ফুল, সঙ্গে চন্দন, সিঁদুর, অক্ষত, সুপারি এবং রোলি। এরপর মা ব্রহ্মচারিণীর প্রিয় খাবার হলুদ রঙের ফল মিষ্টি নিবেদন করতে হবে। পুজো শেষে গোটা পরিবার একত্রিত হয়ে মা ব্রহ্মচারিণীর আরতি করে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করতে হবে।