২০২৫ সালে মহান উৎসব মহাকুম্ভ শুরু হবে ১৩ জানুয়ারি। এই বছরের মহাকুম্ভ মেলা হবে প্রয়াগরাজে। একমাস ধরে চলা এই মেলায় অংশগ্রহণ করবে হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী দেশ-বিদেশের ভক্তদের পাশাপাশি ঋষি, সাধু, নাগা সাধু। মহাকুম্ভে নাগা সাধুর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই নাগা সাধু সাধারণত তাদের তপস্বী জীবনধারা এবং যুদ্ধের দক্ষতার জন্য বিখ্যাত। নাগা সাধুর কথা সবাই শুনেছেন, কিন্তু অনেকেই জানেন না যে মহিলা নাগা সাধুরাও আছে!
হিন্দু ধর্মের সৈনিক বলা হয় নাগা সাধুদের, অষ্টম শতাব্দীতে শঙ্করাচার্য প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তাঁরা। পুরুষ হোক বা মহিলা, নাগা সাধুদের কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় এবং এই সৈনিকরাই ধর্মের পথে চলে। পুরুষ নাগা সাধুদের লম্বা চুল থাকে, কিন্তু নারীদের সাধু হওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ নেওয়ার জন্য মাথা ন্যাড়া করতে হয়। একজন মহিলা নাগা সাধু তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করে ঈশ্বরের জন্য।
একজন মহিলা নাগা সাধু হওয়ার জন্য, তাঁকে প্রথমে ৬ থেকে ১২ বছর ব্রহ্মচর্য পালন করতে হয়। এই ব্রহ্মচর্য জীবন কাটাতে সফল হলে নাগা সাধু হতে পারেন তাঁরা। মহিলা নাগা সাধুদের শুধুমাত্র জাফরান রঙের সেলাইবিহীন পোশাক পরতে দেওয়া হয়, তবে মহিলা নাগা সাধুরা চাইলে নগ্ন থাকতে পারেন। মহিলা নাগা সাধুদেরও পার্থিব জীবন ত্যাগ করতে হয়, নিজের পিন্ড দান করতে হয় এবং আগুনের সামনে বসে কঠোর তপস্যা করতে হয়।