জগদ্ধাত্রী পুজো (Photo Credits: Sayan Mazumder)

কলকাতা, ৪ নভেম্বর: আজ জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja) অষ্টমী (Ashtami)। সারা রাজ্যজুড়ে আজ পালিত হচ্ছে জগদ্ধাত্রী পুজো। রাজ্যজুড়ে পালিত হলেও চন্দননগরের  (Chandannagar) জগদ্ধাত্রী পুজো বিশ্ববিখ্যাত। অভিনব আলোর সাজে সেজে উঠেছে ঐতিহ্যপূর্ণ শহর চন্দননগর। আলোকসজ্জা, মণ্ডপসজ্জা ও প্রতিমার উচ্চতার অভিনবত্বে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো আলাদাই পরিচয় করে নিয়েছে। প্রতিবছরের মত এবছরও রয়েছে থিম আলোকসজ্জা। আর এই আলোকসজ্জা দেখতে দূর দুরান্ত থেকে মানুষ এসে ভিড় করছেন। সপ্তমী থেকেই প্যান্ডেল হপিং করতে ভিড় করেছেন জনতা। তবে আজ ও নবমীর সন্ধ্যায় একপ্রকার কলকাতার দুর্গাপুজোকে সমান টেক্কা দিয়ে চন্দননগরের রাস্তায় নামবে জনজোয়ার।

এককালীন ফরাসি ঔপনিবেশিক কেন্দ্র চন্দননগরের প্রাণের পুজো এই জগদ্ধাত্রী পুজো। বাগবাজার, তেমাথা জ্যোতি, ফটকগোড়া, হেলাপুকুর, ভদ্রেশ্বর তেঁতুল তলা, চাউলপট্টি এগুলি এর মধ্যে বিখ্যাত। তেমাথা, জ্যোতির পুজোয় ঠাকুরের উচ্চতা সবথেকে বেশি। প্রায় ৩৫ ফুট। এরপরই উচ্চতার দিক থেকে দ্বিতীয় হল চন্দননগর বাগবাজারের পুজো। বাগবাজার জগদ্ধাত্রী পুজোয় সাবেকিয়ানাই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। ফটকগোড়া, তৃতীয় সর্বোচ্চ ঠাকুর। চন্দননগরের হেলাপুকুরের পুজোর একটি বিশেষত্ব হল মায়ের কমলা গায়ের রং। এবার ৫০ বছর পূর্তিতে ৫০ কেজি সোনা (50 Kg Gold) দিয়ে সাজানো হয়েছে। আলোকসজ্জায় ব্যবহৃত হয়েছে পিক্সেল লাইট। প্রায় দু' শো বছরের বেশি সময় ধরে চলছে ভদ্রেশ্বর তেঁতুলতলার পুজো। আনুমানিক ৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পুজো করা হচ্ছে চাউলপট্টির জগদ্ধাত্রীকে। চাউলপট্টির (Chaulpatty) জাগ্রত জগদ্ধাত্রীকে 'আদি মা'-ও  (Aadi Maa) বলা হয়।

আরও পড়ুন, ঠেকুয়া খেতে ভালবাসেন? কীভাবে বানাবেন জেনে নিন

আলোকসজ্জায় সেজেছে চন্দননগর (Photo Credits: Sayan Mazumder)

 

মা জগদ্ধাত্রী (Photo Credits: Sayan Mazumder)

চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির অধীন ১৭১ টি পুজো হচ্ছে এবার। মূলত, ভদ্রেশ্বর, মানকুণ্ডু ও চন্দননগর এলাকায় জাঁকজমকভাবে জগদ্ধাত্রী পুজো করা হয়। প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রায় এবছর মোট ৭৬ টি পুজো কমিটি অংশ নিচ্ছে। ২৩৯ টি লরি সাজিয়ে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে যা গোটা শহরটি পরিক্রমা করবে।