প্রতিবছর ১ অক্টোবর পালন করা হয় আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস। সমাজের বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে হওয়া বৈষম্য, অবমাননাকর আচরণ এবং অবিচার দূর করার লক্ষ্যে পালন করা হয় এই দিনটি। আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের মূল উদ্দেশ্য হল প্রবীণদের সম্মান ও যত্ন নেওয়ার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই দিনটির মাধ্যমে সমাজকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে বয়স্ক ব্যক্তিরা সমাজের একটি বিশেষ অংশ। তাদের অবদানের জন্য সমাজের সমস্ত প্রবীণ নাগরিকদেরও সম্মান করা উচিত। ১৯৯০ সালে বয়স্ক ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং তাদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ঘোষণা করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। এরপর থেকে প্রতি বছর ১ অক্টোবর পালন করা হয় আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস।

ভারতীয় সমাজে বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ঐতিহ্যগত গুরুত্ব রয়েছে। বয়স্ক ব্যক্তিরা সমাজে গুরু, রোল মডেল এবং জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। তবে অনেক ব্যতিক্রম আছে, অনেক ক্ষেত্রে বয়স্ক ব্যক্তিরা তাদের সন্তানদের কাছ থেকে অসুবিধা এবং সমস্যার সম্মুখীন হয়। এই সমস্যা দূর করার জন্য প্রবীণ সংগঠনগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রচার করা হয়। স্কুল, কলেজ, সোসাইটি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয় এই দিনে। আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রম সংগঠনগুলো বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচী ও ক্যাম্পের আয়োজন করে। এই কর্মসূচী ও ক্যাম্পের মাধ্যমে বয়স্কদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করে সমস্যা দূর করার চেষ্টা করা হয়।

আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসে সমাজে প্রবীণদের বিশেষ ভূমিকার কথা স্মরণ করানোর পাশাপাশি তাদের সম্মান করার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়। মানুষকে বয়স্ক মানুষের সমস্যা ও চাহিদা সম্পর্কে সচেতন করা হয় এই দিনে। বয়স্ক ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষার একটি সুযোগ প্রদান করা হয় এই দিনে। সমাজে প্রবীণদের অধিকার রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে তাদের মনোবল বৃদ্ধি করা হয় এবং সমাজে সংযুক্ত রাখা হয় তাদের। বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে ভালো আচরণ করা সামাজিক দায়িত্ব এবং এটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা উচিত।