প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি ভারতে পালন করা হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা লাভ করে ভারত, তবে স্বাধীন হওয়ার পরই কার্যকর হয়নি ভারতের সংবিধান। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয় ভারতের সংবিধান এবং এরপর থেকেই প্রজাতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত হয় ভারত। আমাদের ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন রাজেন্দ্র প্রসাদ, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের সংবিধান কার্যকর হওয়ার জন্য তিনি ২১ বন্দুকের স্যালুট দিয়ে উত্তোলন করেন ভারতীয় পতাকা। এরপর থেকেই প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি পালন করা হয় প্রজাতন্ত্র দিবস।
প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে প্রজাতন্ত্র দিবস একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ২০২৫ সালে পালন করা হবে ভারতের ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। প্রতি বছরের মতো এই বছরও দেশ জুড়ে পতাকা উত্তোলন করা হবে, এছাড়া কুচকাওয়াজ ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হবে প্রজাতন্ত্র দিবস। স্কুল-কলেজ ও অফিস হোক বা পাড়ার কোনও প্রজাতন্ত্র দিবস অনুষ্ঠান, মাইক হাতে বক্তব্য দিতে দেখা যায় বহু মানুষকে। আপনারও কী ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বক্তব্য রাখার নেমন্তন্ন এসেছে? কিন্তু কি বলবেন বুঝতে পারছেন না? তাহলে তাড়াতাড়ি পড়ে নিন এই লেখাটি।
ভারত আমাদের মাতৃভূমি, মায়ের চোখে দেখি আমরা আমাদের দেশকে। এদেশে জন্ম হয়েছে অসংখ্য জ্ঞানী গুণী ব্যক্তিত্বদের। তাঁদের স্পর্শে ধন্য হয়েছে এই দেশ। হাজার হাজার মানুষ নিজেদের জীবনের পড়োয়া না করে ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে এই দেশ স্বাধীন করার লড়াই করতে পথে নেমেছিলেন। এই লড়াইয়ে শহীদ হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তবে ব্যর্থ যায়নি শহীদের রক্ত, তাঁদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের জন্য স্বাধীন হয় আমাদের দেশ ভারত। প্রজাতন্ত্র দিবসে সেই হাজার হাজার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বলিদানের জন্য রইল সশ্রদ্ধ প্রণাম। এমন এক সুন্দর দেশের অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত ও গর্বিত। সকল গর্বিত ভারতবাসীদের ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।