প্রতীকী ছবি (Photo CreditL Pixabay)

মুম্বই, ২৪ জানুয়ারিঃ এক তরুণীর গোপনাঙ্গ থেকে উদ্ধার হল অস্ত্রোপচারের ব্লেড এবং নুড়িপাথর। চাঞ্চল্যকর তথ্যে হতবাক পুলিশ। বছর কুড়ির ওই তরুণীর পুলিশকে দেওয়া একের পর এক পরস্পরবিরোধী বয়ান গোটা বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নালাসোপাড়ার বাসিন্দা ওই তরুণীকে সম্প্রতি গোরেগাঁও পূর্ব থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। উদ্ধারের পর মেডিক্যাল পরীক্ষার সময় তাঁর গোপনাঙ্গ থেকে একটি প্যাকেটে মোড়ানো অস্ত্রোপচারের ব্লেড ও কিছু নুড়ি পাথর পাওয়া গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণী তাঁর বাবা-মা এবং তিন ভাইবোনের সঙ্গে নালাসোপাড়ায় থাকেন। কিন্তু প্রাথমিকভাবে ওই তরুণী পুলিশকে জানান, তিনি একজন অনাথ। বারাণসীর এক কাকা তাঁকে মানুষ করেছেন। ২০ জানুয়ারী কাকার সঙ্গে তিনি মুম্বই আসেন। যদিও নিজের সেই বয়ান কেটে ফের তরুণী পরে জানান, তাঁর বাবা-মা জীবিত আছেন এবং নালাসোপাড়ায় থাকেন। তাঁর বাবা পেশায় একজন বিক্রেতা। বাড়ির কাছের এক থালা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন তরুণী। ২১ জানুয়ারি তাঁর বাবার সঙ্গে অশান্তি করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি।

তরুণী পুলিশকে আরও জানান, কর্মক্ষেত্র থেকে কিছু টাকা নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসেন তিনি। এরপর তিনি নালাসোপাড়া স্টেশনে আসেন।। সেখানে তাঁর পরিচয় হয় এক অটো চালকের সঙ্গে। অটো চালককে তিনি নিজের পরিবারিক সমস্যা এবং আত্মহত্যা চিন্তাভাবনার কথা জানান। চালক তাকে সান্ত্বনা দিয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় এবং তাকে দুবার ধর্ষণ করে। এরপর নালাসোপাড়া স্টেশনে ফেলে রেখে যায়।

একাধিক মিথ্যা বয়ানের পর তরুণীর ধর্ষণের অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশ। একটি মামলাও দায়ের করে। তবে তরুণীর বানানো একের পর এক অসঙ্গতিপূর্ণ গল্প পুলিশের মনে সন্দেহ জিইয়ে রাখে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ নিজে। এক পুলিশ কর্মকর্তা সূত্রে খবর, বাড়ি থেকে পালানোর পর বাড়ি ফিরে যেতে ভয় পেয়েছিলেন ওই তরুণী। তাই নিজেই নিজের শরীরে ব্লেড এবং নুড়ি ঢুকিয়েছিল। যাতে ধর্ষণের তথ্য পরিবারের সামনে তুলে ধরতে পারেন। অতীতেও বেশ কয়েকবার বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলে তরুণী। তাঁর মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক নয়। বান্দ্রার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।