ভারতের অন্যতম মহান সাধক হলেন গুরু রবিদাস। তিনি সমাজ সংস্কারের কাজে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। সমাজ থেকে জাতি, বর্ণ ভেদাভেদ দূর করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে সাধক রবিদাসের। ভগবানের সঙ্গে যুক্ত থাকার একটাই মাধ্যমে আছে বলে মনে করতেন তিনি, তা হল 'ভক্তি'। এবিষয়ে বর্তমান যুগেও তাঁর একটি বাণী প্রচলিত রয়েছে, 'মন চাঙ্গা তো কাঠোতি মে গঙ্গা' অর্থাৎ মন সুস্থ থাকলে সব ঠিক থাকে।
সাধক রবিদাসের জন্ম নিয়ে বহু জনের বহু মত রয়েছে। কিন্তু সাধক রবিদাসের জন্ম নিয়ে একটি জনপ্রিয় দোহা রয়েছে, 'চৌদাস সো তানসিস কি মাগ সুদি পন্ডারস, দুঃখীও কে কল্যাণ হিত প্রগতে শ্রী গুরু রবিদাস'। এই দোহার অর্থ হল, ১৪৩৩ সালের মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে রবিবার জন্মগ্রহণ করেছিলেন গুরু রবিদাস। সেই অনুযায়ী প্রতি বছর মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালন করা হয় গুরু রবিদাস জয়ন্তী (Guru Ravidas Jayanti)। এই বছর তথা ২০২৪ সালে মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথি পড়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি।
গুরু রবিদাসের জন্ম হয়েছিল উত্তর প্রদেশের বারাণসীর এক মুচি পরিবারে। তিনি ভক্তি আন্দোলন, হিন্দুধর্মে ভক্তি এবং সমতাবাদী আন্দোলনের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছিলেন। গুরু রবিদাসের মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল সেই সময়ের প্রধান আধ্যাত্মিক আন্দোলন, ভক্তি আন্দোলন। সাধক শ্রী গুরু রবিদাস একজন মহান সাধক ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন। তিনি নিজের জীবন নিবেদন করেছিলেন ভক্তি ও সমাজ সংস্কারের কাজে।