হিন্দি ও বাংলা মাসগুলি নাম রাখা হয়েছে নক্ষত্রপুঞ্জের নামের উপর ভিত্তি করে। এই মাস পরিবর্তন চক্র দ্বারা নির্ধারিত হয়, তাই এই মাসের নামগুলি রাখা হয়েছে নক্ষত্রমণ্ডলী অনুসারে। চাঁদ যে নক্ষত্রে অবস্থান করে তার উপর ভিত্তি করে মাসের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে চাঁদ অবস্থান করে বিশাখা নক্ষত্রে, তাই এই মাসের নাম বৈশাখ। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে সাধারণত এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে পড়ে বৈশাখ মাস। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বৈশাখ মাস শুরু হয়েছে ১৪ এপ্রিল। তবে হিন্দি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বৈশাখ মাস শুরু হবে ২৪ এপ্রিল। হিন্দি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জেনে নেওয়া যাক বৈশাখ মাসের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ও উপবাসের তালিকা।

বৈশাখ মাসের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এই মাসের বিভিন্ন তিথিতে অবতারণ করেছিলেন নর-নারায়ণ, পরশুরাম, নরসিংহ ও হায়গ্রীব। এছাড়াও বৈশাখ শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে দেবী লক্ষ্মী পৃথিবীতে জন্ম হয়েছিল সীতা রূপে। পৌরাণিক গ্রন্থ অনুসারে, ত্রেতাযুগও শুরু হয়েছে বৈশাখ মাসে। হিন্দু ধর্মের চারটি ধামের মধ্যে একটি হল বদ্রীনাথ ধাম। বৈশাখ মাসের একটি মাহাত্ম্য হল বদ্রীনাথ ধামের দরজা শুধুমাত্র বৈশাখ মাসের অক্ষয় তৃতীয়ায় দিন খোলা হয়। এছাড়া হিন্দু তীর্থস্থান পুরীতে ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রা শুরু হয় বৈশাখ মাসেই। বৈশাখ কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে পুজো করা হয় দেব গাছ বটের। বৈশাখ পূর্ণিমায় তামিলনাড়ুতে প্রভু মুরুগানের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয় বৈকাশী বিশাকম।

বৈশাখ মাসের প্রধান উৎসব ও উপবাসের তালিকা জেনে নেওয়া যাক। ২৭ এপ্রিল, শনিবার রয়েছে সংকষ্টী চতুর্থী পুজো ও উপবাস। ০৪ মে, শনিবার, ভারুথিনী একাদশী ও প্রভু বল্লভাচার্য জয়ন্তী। ০৫ মে, রবিবার, প্রদোষ ব্রত। ০৬ মে, সোমবার রয়েছে শিব চতুর্দশী উপবাস। ০৭ মে, মঙ্গলবার রয়েছে শ্রাদ্ধ অমাবস্যা। ০৮ মে, বুধবার রয়েছে অমাবস্যা বা সাতুয়াই অমাবস্যা। ১০ মে, শুক্রবার রয়েছে অক্ষয় তৃতীয়া ও ভগবান পরশুরাম জয়ন্তী। ১১ মে, শনিবার রয়েছে বিনায়ক চতুর্থী উপবাস। ১৩ মে, সোমবার রয়েছে রামানুজাচার্য জয়ন্তী। ১৪ মে, মঙ্গলবার রয়েছে গঙ্গা সপ্তমী। ১৬ মে, বৃহস্পতিবার রয়েছে সীতা নবমী। ১৯ মে, রবিবার রয়েছে মোহিনী একাদশীর উপবাস। ২০ মে, সোমবার রয়েছে প্রদোষ ব্রত। ২২ মে, বুধবার রয়েছে ভগবান নরসিংহ জয়ন্তী। ২৩ মে, বৃহস্পতিবার রয়েছে বৈশাখী পূর্ণিমা, স্নান-দান পূর্ণিমা, পুষ্টিপতি বিনায়ক জয়ন্তী, বুদ্ধ জয়ন্তী ও কূর্ম অবতার।