ঈদ-ই-মিলাদ মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ উৎসব। এই দিনে নবী মুহাম্মদের শিক্ষা এবং জীবন সম্পর্কে চিন্তাভাবনাকে স্মরণ করে মানুষ। ইসলামের প্রধান গ্রন্থ কুরানে নবী মুহাম্মদের জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয় ঈদ-ই-মিলাদ। এই উৎসব পালন করা হয় রবি-উল-আউয়ালের ১২ তারিখে। তবে শিয়া ও সুন্নি উভয় সম্প্রদায়ই ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে পালন করা হয় এই উৎসব।

সুন্নীরা রবি-উল-আউয়ালের ১২ তারিখে এবং শিয়া সম্প্রদায় ১৭ তারিখে পালন করে ঈদ-ই-মিলাদ উৎসব। মুসলমানদের জন্য এই দিনটি আনন্দের সঙ্গে শোকের দিন, কারণ এই দিনে মৃত্যুবরণও করেছিলেন নবী মুহাম্মদ। এই দিনটি ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশেই একটি সরকারি ছুটির দিন, যেখানে সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস এবং সমস্ত সরকারি কেন্দ্র বন্ধ থাকে।

মুসলিম সম্প্রদায় যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে এই উৎসব উদযাপন করতে পারে সেজন্য স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ছুটি দেওয়া হয় এই দিনে। ইসলামি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি বছর ঈদ-ই-মিলাদ-এর তারিখ পরিবর্তন হয়। ২০২৫ সালে ঈদ-ই-মিলাদ উৎসব পালন করা হবে সেপ্টেম্বরে। এই দিনে সাধারণত মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে মুহাম্মদকে স্মরণ করা হয়। দরিদ্র লোকদের খাওয়ানো হয় এই দিনে। একে অপরকে নবী মুহাম্মদের শিক্ষা সম্পর্কিত আলোচনা করা হয়।