প্রতি মাসে পালন করা হয় দুটি একাদশী অর্থাৎ বছরে ১২টি মাস হওয়ায় পালন করা হয় ২৪টি একাদশী। প্রতি মাসের একাদশীর নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। ভগবান শ্রী হরি বিষ্ণুকে স্মরণে রেখে পালন করা হয় একাদশী উপবাস। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে পালন করা হয় দেবশয়নী একাদশীর উপবাস। এই একাদশীর দিন থেকে চার মাস ক্ষীর সাগরে বিশ্রামের থাকেন ভগবান বিষ্ণু। চার মাস পর অর্থাৎ কার্তিক মাসের দেবুথানী বা দেউতানি একাদশীর দিনে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন ভগবান বিষ্ণু।
২০২৪ সালে দেবশয়নী একাদশী পালন করা হবে ১৭ জুলাই, বুধবার। একাদশী তিথি শুরু হবে হবে ১৬ জুলাই, মঙ্গলবার, রাত ০৮:৩৩ মিনিটে এবং শেষ হবে ১৭ জুলাই, বুধবার, রাত ০৯:০২ মিনিটে। ১৭ জুলাই ব্রহ্মমুহূর্তে উঠে স্নান করে উপবাস করার সংকল্প নিয়ে ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর মূর্তি স্থাপন করতে হবে। ভগবান বিষ্ণুকে নিবেদন করতে হবে অক্ষত, চন্দন, তুলসী এবং হলুদ ফুল। এছাড়া ভগবান বিষ্ণুকে নিবেদন করতে হবে তাঁর প্রিয় খাবার।
দেবাশয়নী একাদশীর দিন থেকে শুরু হয় ভগবান বিষ্ণুর শয়নকাল, তাই এই একাদশীকে বলা হয় দেবশয়নী একাদশী। বিখ্যাত জগন্নাথ যাত্রার পর হয় দেবশয়নী একাদশী। এই একাদশী পরিচিত চাতুর্মাস নামেও। ১৭ জুলাই থেকে শুরু হবে চাতুর্মাস, এই দিন থেকে ১১৮ দিন ঘুমাবেন ভগবান বিষ্ণু। এরপর চাতুর্মাস শেষ হবে দেবুথানী একাদশীর দিন। মান্যতা রয়েছে কোনও শুভ কাজ করা যায় না এই সময়ে।