বাংলা সাহিত্যের পুরোথা পথিকৃৎ ছিলেন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore Jayanti 2022 Date & Significance)। একজন প্রখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, পণ্ডিত, দার্শনিক ও নোবেলজয়ী হিসেবে আমাদের হৃদয়ে চির অমলিন। আগামী ৭ জুন বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী। বিশ্বজুড়ে এই দিনটি উৎসবের আকারে পালন করে থাকেন রবীন্দ্রপ্রমীরা। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দিনটি ২৫ বৈশাখ।
রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন
জর্জিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৮৬১-র ৭ মে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম হয়। চলতি বছরে রবীন্দ্রজয়ন্তী দিনটি পড়েছে শনিবার। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৪২২-এর ২৫ বৈশাখ কবিগুরুর জন্মদিন। পশ্চিমবঙ্গ ও প্রতিবেশী বাংলাদেশে ২ বৈশাখ দিনটি রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এবছরের রবীন্দ্র জয়ন্তী পশ্চিমবঙ্গে পালিত হবে আগামী ৯ মে সোমবার ২৫ বৈশাখ।
রবীন্দ্রজন্তীর ইতিহাস ও তাৎপর্য
রবীন্দ্রনাথের বাংলা সাহিত্যের দিক পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। সংগীত জগতেও বিরাট পরিবর্তনের ভূমিকা রাখে এই ২৫ বৈশাখ দিনটি। জাতীয় সংগীত "জন গণ মন" রবীন্দ্রনাথের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রচনা। পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিশ্ব সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ইউরোপের বাইরে তিনিই প্রথম নোবেলজয়ী।
রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন
অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে প্রাণবন্তভাবে পশ্চিমবঙ্গে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হয়। গুরুদেবকে উৎসর্গ করেই নাচ, গান, কবিতা, আলোচনাসভা, সাহিত্যসভার আসর বসে। এই কিংবন্তীর আবির্ভাব দিবসে তাঁকে স্মরণ করে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালি ও রবীন্দ্রপ্রেমীরা, এই ২৫ বৈশাখ ধুমধামের সঙ্গে উদযাপন করে থাকেন।