মারাঠা রাজা ছত্রপতি শিবাজীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পালিত হয় ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ জয়ন্তী বা শিবাজি জয়ন্তী। মারাঠা রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতার সম্মানে, শিবাজি জয়ন্তী (Chhatrapati Shivaji Jayanti) পালিত হয় প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ। পুনে শিবনেরি দুর্গে জন্মগ্রহণ করেন শিবাজি মহারাজ। শিবাজি জয়ন্তী সাধারণত একটি মহারাষ্ট্রীয় উৎসব, যা ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। এই দিনে মহারাষ্ট্রে দেওয়া হয় সরকারি ছুটি। এই দিনটি অনেক উৎসাহ এবং গর্বের সঙ্গে পালন করা হয়। এদিন পাড়ায় পাড়ায় আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।

মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলের (Mahatma Jyotirao Phule) দ্বারা ১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শিবাজি জয়ন্তী বা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ জয়ন্তী। পুনে থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে রায়গড়ে (Raigad) শিবাজি মহারাজের সমাধি আবিষ্কার করেছিলেন মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলে। শিবাজী জয়ন্তী প্রথম পালিত হয় পুনেতেই। শিবাজী জয়ন্তীকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলক (Bal Gangadhar Tilak)। তিনি শিবাজী মহারাজের অবদানগুলিকে সামনে নিয়ে এসে মানুষকে প্রভাবিত করেছিলেন।

মান্যতা আছে শিবাজি মহারাজের মা স্থানীয় দেবী শিবাইয়ের কাছে প্রার্থনার পর পুত্র সন্তান শিবাজির জন্ম হয়। তাই শিবাজি মহারাজের নামকরণ করা হয়েছিল দেবী শিবাইয়ের নামানুসারে। শিবাজি মহারাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মারাঠা রাজ্য। নেতৃত্ব, বীরত্ব এবং সামরিক কৌশলের জন্য পরিচিত তিনি। ভারতীয় ইতিহাসে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের ভূমিকা ও অবদান তাঁকে একজন জাতীয় বীর করে তোলে।

শিবাজি জয়ন্তী মহারাষ্ট্রে আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়। শিবাজী মহারাজের সাহসিকতা ও বুদ্ধি সর্বদা বিস্মিত ও অনুপ্রাণিত করেছিল মানুষকে। এই দিনটি মারাঠাদের সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিন। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ জয়ন্তী উপলক্ষে এদিন তাঁর অবদানকে স্মরণ করে সাংস্কৃতিক উদযাপনের মাধ্যমে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।