প্রতি বছর ২২ মার্চ সারা দেশে পালিত হয় বিহার দিবস। প্রায় ১১২ বছর আগে এই দিনে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাজ্যের মর্যাদা পায় বিহার। এই উপলক্ষে, বিহার রাজ্যের বিভিন্ন অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটি দেওয়া হয় এবং বহু-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই দিনটি পালন করে বিহার সরকার। এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হল মানুষের হৃদয়ে বিহারের গৌরব ফিরিয়ে আনা। এবার জেনে নেওয়া যাক বিহার দিবসের ইতিহাস এবং বিহারকে আলাদা রাজ্য করার জন্য যে সংগ্রাম করতে হয়েছে তার গল্প।

প্রায় ১২৫ বছর ধরে বিহারের একটি সাংস্কৃতিক পরিচয় ছিল, পলাশীর যুদ্ধের পর পাটনার প্রশাসনিক পরিচয় বিলুপ্ত হয়ে যায়। একসময় বিহারের প্রায় সব ছোট-বড় সরকারি চাকরি হয়ে যায় বাঙালিদের দখলে। ১৮৭০ সালের পর, প্রথমবার‌ 'মুর্গ-ই-সুলাইমান' পত্রিকা 'বিহারীদের জন্য বিহার' স্লোগান দিয়ে পৃথক বিহার রাজ্যের জন্য আওয়াজ তুলেছিল। এরপর ১৮৯৪ সালে, দুটি স্থানীয় সংবাদপত্র বিহার টাইমস এবং বিহারবন্ধু এই আন্দোলনকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

১৯১২ সালের ২১ মার্চ, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির নতুন গভর্নর টমাস গিবসন কারমাইকেল দায়িত্ব নেওয়ার পর ২২ মার্চ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিকে চার ভাগে ভাগ করে দেন। বাংলা, আসাম, উড়িষ্যা ও বিহার এবং পাটনাকে বিহারের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর ২২ মার্চ পালিত হয় বিহার দিবস। এই দিনটি অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে পালন করা হয়। বিহার দিবস উপলক্ষে, বিহার রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সৌজন্যে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিহারের ভাবমূর্তি ও চেতনাকে আরও মজবুত করার জন্য স্থানীয় লোকজন এই দিনটিকে ধুমধাম করে পালন করে।