
প্রতি বছর ৪ মার্চ পালন করা হয় 'বিশ্ব স্থূলতা দিবস'। এই দিনে মানুষকে স্থূলতা সম্পর্কে সচেতন করা হয়। স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ এবং এর ফলে সৃষ্ট ক্ষতি সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয় বিশ্ব স্থূলতা দিবসে। বিশ্ব স্থূলতা ফেডারেশন ২০১৫ সালে থেকে পালন করা শুরু হয় বিশ্ব স্থূলতা দিবস। এই দিনে মানুষকে স্থূলতা সম্পর্কে সচেতন করা হয় এবং তাদের বলা হয় কিভাবে তারা স্থূলতা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে, কারণ স্থূলতা অনেক ধরণের রোগের কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনও ব্যক্তির ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। চিকিৎসকদের মতে, স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ না করলে শরীরে নানা ধরণের রোগ বাসা বাঁধতে পারে, যার মধ্যে প্রধান হল উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের পরিমাণ, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট, জয়েন্টের রোগ, লিভার এবং কিডনির সমস্যা।
স্থূলতা এড়াতে অনেক ধরণের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাদের মতে, খাদ্যাভ্যাস সুষম রাখা উচিত, যাতে ওজন ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে পারে। সুষম খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে রয়েছে তাজা ফল, শাকসবজি এবং সঠিক পরিমাণে প্রোটিন। এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়ামও করতে হবে। প্রতিদিন ৩০-৪৫ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। এছাড়া স্থূলতা নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের অভাবের কারণে ওজনের উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জাঙ্ক ফুড খাওয়া এড়িয়ে চলা জরুরি। তবে চিকিৎসকদের মতে, স্থূলতা জেনেটিকও হতে পারে, কারণ অনেক ক্ষেত্রে জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রার অভ্যাস এই সবকিছুই ওজনের উপর প্রভাব ফেলে।
স্থূলতা মানসিক অসুস্থতার কারণও হতে পারে, এর ফলে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ হতে পারে। কখনও কখনও স্থূলতা মৃত্যুর কারণও হতে পারে, কারণ এটি অনেক ধরণের বিপজ্জনক রোগের জন্ম দেয়, যার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক, ক্যান্সার, কিডনি এবং লিভার ফেইলিওরের মতো রোগ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কারোর BMI ৩০-এর বেশি হলে তার স্থূলত্ব সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। একজন পুরুষের কোমর ৪০ ইঞ্চির বেশি এবং একজন মহিলার কোমর ৩৫ ইঞ্চির বেশি হলে তাদের সতর্ক থাকা উচিত। চিকিৎসকদের মতে, শ্বাসকষ্ট, জয়েন্টে ব্যথা এবং ঘুমাতে অসুবিধা হলে অবিলম্বে সতর্ক হওয়া উচিত। যেকোনও ব্যক্তির সময়মতো ওজন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।