মুসলিম ধর্মে বকরি ঈদ বা ঈদ-উদ-আযহাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিনে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বলিদানের। ২০২৪ সালে বকরি ঈদ পালন করার দিন নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে বিভ্রান্তি। বকরি ঈদ উৎসব পালন করার জন্য দুটো তারিখ উঠে এসেছে, ১৬ জুন এবং ১৭ জুন। ইসলামি ক্যালেন্ডারের ১২তম এবং শেষ মাস হল মাস-ই-জিলহিজ। ইসলাম ধর্মে এই মাসটিকে অত্যন্ত বিশেষ বলে মনে করা হয়। এই মাসেই হজের মতো পবিত্র তীর্থযাত্রায় যায় মানুষ এবং কোরবানি করা হয় এই মাসে।

২০২৪ সালে বকরি ঈদের চাঁদ দেখা যাবে ৬ জুন। ২০২৪ সালে জু আল-হাজ্জা মাস ২৯ দিনের হলে, বকরি ঈদ উৎসব পালন হবে ১৬ জুন এবং জু আল-হাজ্জা মাস ৩০ দিনের হলে বকরি ঈদ উৎসব পালন হবে ১৭ জুন। ইসলামী বছরে দুই বার পালন করা হয় ঈদ, যার একটি ঈদ-উল-জুহা এবং অপরটি ঈদ-উল-ফিতর। ঈদ-উল-ফিতরকে বলা হয় মিষ্টি ঈদ, এটি পালন করা হয় রমজানের শেষে। মানুষ এই দিনে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঈদের শুভেচ্ছা জানায়। মিষ্টি ঈদের প্রায় ৭০ দিন পর পালন করা হয় বকরি ঈদ।

ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, কোরবানির প্রথা শুরু হয় হযরত ইব্রাহিমের সময়ে। কথিত আছে, পরীক্ষা করার জন্য হযরত ইব্রাহিমকে তার সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস কুরবানি করতে বলেছিলেন আল্লাহ। এরপর তিনি তার একমাত্র পুত্রকে কোরবানি করার সিদ্ধান্ত নেন। পুত্রকে কোরবানি দেওয়ার সময় যাতে তার হাত থেমে না যায় সেই জন্য নিজের চোখ বেঁধে রেখেছিলেন তিনি। তারপর তিনি নিজের ছেলের কোরবানি দেন, কিন্তু চোখের পর্দা খোলার পর তিনি দেখতে পান তার ছেলের পরিবর্তে একটি প্রাণী মৃত অবস্থায় পড়ে আছে এবং তার ছেলে একদম ঠিক আছে। কথিত আছে, আল্লাহ হযরত ইব্রাহিমের উপর সন্তুষ্ট হয়ে তার পুত্রকে জীবন দিয়েছেন। এদিন থেকেই পালন করা শুরু হয় বকরি ঈদ।