
মূল্যবৃদ্ধি এবং মজুতদারি রোধ করতে ব্যবসায়ী, পাইকারি বিক্রেতা, বড় অংশের খুচরা বিক্রেতা এবং প্রসেসরদের জন্য গমের মজুদ রাখার সীমা সংশোধন করল কেন্দ্র। এক বিবৃতিতে ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন মন্ত্রক বলেছে, ব্যবসায়ী এবং পাইকারী বিক্রেতাদের জন্য গমের সংশোধিত মজুদের সীমা তিন হাজার মেট্রিক টন থেকে দুই হাজার মেট্রিক টন করে দিয়েছে ।প্রসেসরদের জন্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাকি মাসগুলির দ্বারা গুণিত তাদের মাসিক ইনস্টল ক্ষমতার ৭০ শতাংশের আগের সীমা থেকে সীমাটিকে ৬০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। স্বতন্ত্র খুচরো বিক্রেতারা যারা ১০ টন পর্যন্ত গম মজুদ করে চলেছেন তাদের জন্য মজুদের সীমা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বড় চেইন খুচরা বিক্রেতারা প্রতিটি আউটলেটে ১০ মেট্রিক টন পর্যন্ত গম সংরক্ষণ করতে পারে।
চলতি বছরের ২৪ জুন কেন্দ্রের তরফে গমের মজুদের সীমা আরোপ করেছিল। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি আগামী বছরের 31শে মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। মন্ত্রক বিবৃতিতে যোগ করেছে যে সমস্ত গম মজুদকারী সংস্থাগুলিকে গম মজুত সীমা পোর্টালে নিবন্ধন করতে হবে এবং প্রতি শুক্রবার স্টক অবস্থান আপডেট করতে হবে। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা এই স্টক সীমাগুলির প্রয়োগ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন যাতে দেশে গমের কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি না হয়। এতে আরও বলা হয়, এ বছর রবি মৌসুমে মোট এক হাজার ১২৯ লাখ মেট্রিক টন (এলএমটি) গমের উৎপাদন রেকর্ড করা হয়েছে এবং দেশে গমের পর্যাপ্ত প্রাপ্যতা রয়েছে।