Uttar Pradesh Horror: ফের যোগীর রাজ্যে মাথা থেঁতলে খুন কিশোরী, ধর্ষণের পরই প্রমাণ লোপাটে হত্যা; দাবি পরিবারের
প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pixabay)

ভাদোহী, ২ অক্টোবর: যোগীর রাজ্যের মহিলাদের উপরে অত্যাচার যেন মুড়ি মুড়কিতে পরিণত হয়েছে। হাথরাস ও বলরামপুরের টাটকা ক্ষতের মধ্যেই ফের একবার ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে। ভাদোহীতে এক দলিত কিশোরীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল। ইঁট দিয়ে মাথা থেঁতলে তাকে খুন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের দাবি, ধর্ষণ করার পরে খুন করা হয়েছে কিশোরীকে। পুলিশ জানিয়েছে, মাঠে প্রাতঃকৃত্য করতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ওই কিশোরী। এদিকে মেয়ে অনেকক্ষণ বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজখবর শুরু করেন। তখনই ক্ষেত্রে মধ্যে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি প্রথমে দেখতে পায় তার ভাই। সে বাকিদের খবর দেয়। তার মাথা ইঁট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল।

পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পরে মুখ বন্ধ করার জন্যই কিশোরীকে খুন করা হয়েছে। মৃতার বাড়ি স্থানীয় গোপীগঞ্জ থানার চকরাজারাম তিউয়ারিপুর গ্রামে। পরিবারের সন্দেহ, ধর্ষণের পরই মেয়েকে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছে। তবে ধর্ষণ আদৌ হয়েছে কি না তা ময়নাতদন্তেই জানা যাবে। এই প্রসঙ্গে রাম বদন সিং নামে স্থানীয় থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “দেখে মনে হচ্ছে ধর্ষণের পরেই নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে। কারণ নাহলে খুনের অন্য কোনও কারণ নেই। তার বয়স ১৪ বছর। কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না তার। অবশ্য ময়নাতদন্তের পরেই ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা প্রমাণিত হবে।” ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহে গ্রামে পৌঁছেছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল ও অপরাদ দমন শাখার কর্তারা। কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। ঘটনার তদন্তে নেমে স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। আরও পড়ুন-Harsimrat Kaur, Sukhbir Singh Badal Detained: কৃষি বিলের বিরোধিতায় পথে নেমে এবার গ্রেপ্তার হরসিমরত কৌর ও সুখবীর সিং বাদল

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই হাথরাসে এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে। নৃশংসভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল তাঁর উপর। কামড়ে ছিঁড়ে নেওয়া হয় জিভ। গত সোমবার মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও তরুণীর মৃত্যুর পরে তাঁর দেহ পরিবারের হাতে না দিয়ে জোর করে পুড়িয়ে দেয় পুলিশ। এমনকী সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিস জানায় হাথরাসের ঘটনায় তরুণীকে গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ ফরেন্সিক রিপোর্টে মেলেনি। এদিকে এই নারকীয় কাণ্ডের প্রতিবাদে গোটা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। গতকাল মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে বাধা পান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁদের গ্রেপ্তারের পর দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়।